এর আগে বহুবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেই তাদের থামতে হয়েছে। নক আউট পর্বে স্নায়ু ধরে রাখতে না পারায় ছিটকে যেতে হয়েছে। যে কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ‘চোকার্স’ তকমাটা পুরো যেন সমার্থক হয়ে উঠেছিল। তবে ২০২৪ টি২০ বিশ্বকাপে এই তকমা থেকে বের হওয়ার সুযোগ ছিল প্রোটিয়াদের সামনে। এডেন মার্করামের নেতৃত্বে সেমিফাইনালের বাধা পেরিয়ে তারা উঠেছিল ফাইনালে। কিন্তু শিরোপা জয় সেই অধরাই থাকল। শেষ পর্যন্ত শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে ভারতের কাছে ৭ রানে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হল দক্ষিণ আফ⛦্রিকার। অথচ একটা সময়ে ম্যাচের পুরো রাশই ছিল প্রোটিয়াদের হাতে।
আরও পড়ুন: বি🥀শ্বকাপ জিতিয়ে রাজার মতো T20I-কে আলবিদা জানালেন রোহিতও
চোকার্সের তকমা ঘুচল না প্রোটিয়াদের
বিশ্ব ক্রিকেটে বরাবরই বড় দল হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে ট্রফি জয়ের ক্ষেত্রে তাদের ভাগ্য কখনও-ই সঙ্গে দেয়নি। বড় বড় টুর্নামেন্টে সেমিফাইনাল থেকেই ছিটকে গিয়েছে প্রোটিয়ারা। এবার অবশ্য ৩৩ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু ভাগ্য সঙ্গ দিল না। ভারতের কাছে কার্যত জেতা ম্যাচ হেরে চো🐽খের জলে ভাসল প্রোটিয়া শিবির।
আরও পড়ুন: শেষ টি২০ খেল⛄ে ফেললাম, নবীন প্রজন্ম তৈরি… ট্রফি জিতে বিরাট মঞ্চ ত্যাগ
চোখের জলে ভাসল দক্ষিণ আফ্রিকা শিবির
ম্যাচের পর একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার প্লোরদের যন্ত্রণার ছবিই ধরা পড়ে🐠ছে। সজ্জন হারার যন্ত্রণা যেন প্রতিটি প্লেয়ারের চোখেমুখে। চোখের জল যেন বাধ মানছে না। ভারতের উল্লাস, উন্মাদনা, সেলিব্রেশনের ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োগুলির পাশে প্রোটিয়াদের সর্বহারা যন্ত্রণার এই ভিডিয়োটি দেখে কষ্ট পেয়েছেন ক্রিকেট প্রেমীরা। কারণ তারা দুরন্ত লড়াই করেছিল গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে। ফাইনালেও জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে শেষ রক্ষা হয়নি।
শনিবার বার্বাডোজে একটা সময়ে ৩০ বলে ৩০ রান প্রয়োজন ছিল। কিন্তু শেষদিকে জসপ্রীত বুমরা💞হ, আর্শদীপ সিং আর হার্দিক পান্ডিয়ার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়েই জয়ের রাস্তা হারিয়ে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। এমন একটি পরাজয় হজম করতে পারছে না পুরো প্রোটিয়া শিবিরই।
আরও পড়ুন: হৃদস্পন্♓দন বেড়ে গিয়েছিল… ক্যাপ্টেন কুলের মোড়ক খুলে রোহিতদের উচ্ছ্বসিত শুভেচ্ছা ধোনির
হতাশার কথা শোনালেন মার্করাম
ম্যাচের শেষে এডেন মার্করাম হতাশা না লুকিয়ে, বরং তিনি সোজাসাপ্টা বলেছেন, ‘সত্যি বলতে খুব হতাষ লাগছে, কষ্ট হচ্ছে। আমি বলে বোঝাতে পারব না। এটি বোঝানো কঠিন। ছেলেদের নিয়ে গড়া এই দলটি অসাধারণ। আমার মতে, ওদের সত্যিই ভালো কিছ𝔍ু প্রাপ্য ছিল। এই টুর্নামেন্টে আসার আগে আমার সত্যিই খুব ভালো একটা অনুভূতি হচ্ছিল। সময় যত এগিয়েছে, সেই অনুভূতি আরও পোক্ত হয়েছে। তাই এখন এই হার মেনে নেওয়া বেশ কঠিন। তবে খেলাধুলার ব্যাপারটিই এমন। কেউ জেতে, কেউ হারে। আমরা ভবিষ্যতের টুর্নামেন্টগুলোয় জ্বলে উঠতে চেষ্টা করব।’