শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৬ রান। রোহিত শর্মা ভরসা করে বল তুলে দিয়েছিলেন দলের সহ-অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে। টেনশনের পারদ তখন আকাশ ছোঁয়া। রোমাঞ্চে শিহরিত সকলে। হার্দিক শেষ ওভারে ১৬ রান ডিফেন্ড করতে এসে নিজের স্নায়ুর চাপ সুন্দর ভাবে ধরে রেখেছিলেন। তাঁকে ওভারের শুরুতেই কিছুটা স্বস্তি দিয়েছিলেন সূর্যকুমার যাদব। প্রথম বলেই ডেভিড মিলার লম্বা ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাউন্ডারি লাইনের কাছে দাঁড়িয়ে অনবদ্য ক্যাচ ধরেন সূর্য। ছয় হওয়ার বদলে, ক্যাচ হয়ে যায়, মিলার আউট হন। অক্সিজেন পেয়ে যায় ভারত। চাপ কমে হার্দিকেরও।
এর পর দ্বিতীয় বলে বাই থেকে হয় ১ রান, তৃতীয় বলে লেগ বাই বাই থেকে আরও ১ রান হয়। চতুর্থ বলটি হার্দিক ওয়াইড করেন। কিন্তু অতিরিক্ত বলে তিনি আউট করেন কাগিসো রাবাদাকে। শেষ বলে হয় এক রান। হার্দিক এই ওভারে ২ উইকেট তুলে নিয়ে ৮ রান খরচ করেন। সেই সঙ্গে ভারতকেও তিনি ৭ রানে ম্যাচ জিতিয়ে দেয়। কেটে যায় ১১ 𒀰বছরের খরা। ২০১৩ সালের পর ফের আইসিসি ট্রফি জয়🃏ের খরা কাটে। আর ১৭ বছর পর ভারত ফের টি২০ বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পায়। ১৩ বছর বাদে কোনও বিশ্বকাপের মঞ্চে ফের শিরোপা জিতল ভারত। আর এর পরেই পুরো টিম আবেগে ভাসে।
আরও পড়ুন: ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিং নিলেই, T2🍃0 WC জেতে দল, ব্যতিক্রম শুধু ২০১০
দলকে জিতিয়ে ছেলেমানুষের মতোই হাপুস নয়নে কেঁদে ফেলেন হার্দিক। দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা আবেগে আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারেননি। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে হার্দিককে জড়িয়ে ধরে ভালোবাসাꦿর চুম্বনে ভরিয়ে দেন ভারত অধিনায়ক। শান্ত স্বভাবের রাহুল দ্রাবিড়েরও এদিন আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। তিনি চেয়ার ছেড়ে লাফিয়ে ওঠেন। দলের সব প্লেয়ারেরই তখন কম-বেশি চোখে জল। আবেগে-উচ্ছ্বাসে ভাসছে গোটা দল। হবে নাই বা কেন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হয়েছে অবশেষে। এই জয়টি এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকল ভারতের কাছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ইংল্যান্ডের সঙ্গে এখন টিম ইন্ডিয়া তৃতীয় দল হিসেবে, দু'বার পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের নজির গড়ে ফেলল।
আরও পড়ুন: ভালো খেললেও মুহূর্তের অসতর্কতায় রান আউট অক্ষর, ম্যাচের রং বদলাল💯েন ডি'কক
২০১৩ সালের পর প্রথম কোনও আইসিসি ট্রফি জয়। ২০১১ সালের পর প্রথম বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের স্বাদ পেল ভারত। ২০০৭ সালের পর দ্বিতীয় বার ফের টি২০ বিশ্বকাপ জয়। ধোনির পর রোহিতের হাত ধরে বিশ্ব জয়। ভারত এই নিয়ে মোট চার বার বিশ্ব জয় করল- দু'বার একদিনের বিশ্বকাপ, দু'বার টি২০ বিশ্বকাপ। অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে নতুন রেকর্ড গড়লেন রোহিতরা। ঠিক সাত মাস দশ দিন আগে আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে স্বপ্ন ভঙ্গের যন্ত্রণায়, কিছুটা হলেও প্রলেপ লাগালেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা। স্বপ্ন পূরণ হল স𒉰ুদূর ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে।