কিংসটাউনে গত রবিবার ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে নেপাল অধিনায়ক রোহিত পৌড়েলের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে জড়িয়ে পড়েছিলেন বাংলাদেশের পেসার তানজিম হাসান। যার জেরে শাস্তির মুখে পড়তে হল তাঁকে। আইসিসিꦅ আচরণবিধির লেভেল ওয়ান ভঙ্গ করায় তানজিমকে ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ অর্থ জরিমানা করা হয়েছে।
𒁏 নেপালের বিরুদ্ধে ম্যাচে দুরন্ত বোলিং করেছিলেন তানজিম। চার ওভার বল করে ২১টি ডট বল দিয়ে ৭ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি। যার মধ্যে আবার ২টি মেডেন ওভারও রয়েছে। বাংলাদেশ দলের পেসার তানজিমের এই দুর্দান্ত স্পেল নেপালকে ছিটকে ফেলেছিল, সঙ্গে বাংলাদেশকেও টি২০ বিশ্বকাপের সুপার এইটে উঠতে সাহায্য করেছিল। তবে সেরা আটের লড়াইয়ের ঠিক আগে শাস্তি পেতে হল তানজিমকে।
꧟ নেপালের ইনিংসে তৃতীয় ওভারে এই ঘটনা ঘটে। আইসিসির প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে, তানজিম বল করার পর ‘নেপাল অধিনায়ক রোহিত পৌড়েলের দিকে আক্রমণাত্মক ভাবে এগিয়ে যান এবং অযাচিত শারীরিক অঙ্গভঙ্গি করেন।’ এই সময় দু'জনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ও হয়। আম্পায়ার স্যাম নোগাসকির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তিনি আলাদা করেন দুজনকে। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেনের সঙ্গেও এ সময় কথা বলেন আম্পায়ার।
𒊎 খেলোয়াড় এবং খেলোয়াড়দের সাপোর্ট স্টাফদের জন্য আইসিসি আচরণবিধির ২.১২ ধারা ভেঙেছেন তানজিম, যেখানে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলোয়াড়, সাপোর্ট স্টাফ, আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারি কিংবা অন্য কারও (দর্শকও) প্রতি অযাচিত শারীরিক ভঙ্গি করলে তিনি দোষী সাব্যস্ত হবেন।’
আরও পড়ুন: ꦑ‘বি’ গ্রুপের এক নম্বর দল হয়েও, কেন দ্বিতীয় বাছাই হিসেবে সুপার আটে খেলবে অজিরা?
💃 এর পাশাপাশি তানজিমের ডিসিপ্লিনারি রেকর্ডে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও যোগ করা হয়েছে। গত ২৪ মাসের ব্যবধানে এমন ঘটনা প্রথম ঘটালেন তানজিম। একজন খেলোয়াড় যখন ২৪ মাসের ব্যবধানে ন্যূনতম ৪টি ডিমেরিট পয়েন্ট পান, তখন সেটি সাসপেনশন পয়েন্টে রূপান্তরিত হয় এবং খেলোয়াড়টি নিষিদ্ধ হন। ২টি সাসপেনশন পয়েন্ট পেলে একটি টেস্ট কিংবা দু'টি ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নির্বাসিত হতে হয় তাঁকে। এক্ষেত্রে খেলোয়াড়ের সামনে যে সংস্করণের ম্যাচ থাকবে, সেটায় নিষিদ্ধ হবেন তিনি।