শুক্রবার থেকে শুরু বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি। তার আগে পিচ নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা, সামনে এসেছে ছবি। এবার এই পিচ নিয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করলেন অজি ক্রিকেটার ট্র্যাভিস হেড। তিনি মনে করছেন এই উইকেট ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের জন্য যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং হবে। বরাবরই পার্থের উইকেট থেকে বাড়তি পেস এবং বাউন্স পেয়ে থাকে পেসাররা, সেটা পুরোনো ওয়াকা স্টেডিয়াম হোক কিংবা নতুন অপটাস স্টেডিয়াম। তবে ভারতীয় ক্রিকেটাররা এই স্ট♑েডিয়ামে আগে কোনও টেস্ট খেলেনি। ফলে, প্রথমবার ম্যাচ খেলতে নেমে সমস্যায় পড়তে হবে তা বলাইবাহুল্য। তবে হেড মনে করছেন শুধুমাত্র ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলবে এই পিচ।
পার্থে ট্র্যাভিস হেডের পরিসংখ্যান খুবই ভালো, এই মাঠে তাঁর ব্যাটিং গড় ৪০। তিনি জানিয়েছেন এই মাঠে ব্যাট ক💃রতে খুবই ভালোবাসেন, তবে স্বীকার করে নিয়েছেন শেষ ৩দিন ব্যাটিং করা খুবই চ্যালেঞ্জিং। হেড একটি পডকাস্ট শোয়ে বলেন, ‘আমি জানি না কেন তবে এখানে ব্যাটিং করাটা আমি উপভোগ করি। তবে এই উইকেটের কিছু ভয়ঙ্কর দিকও আছে। আমার মনে হয় সবাই সেই বিষয়টা নিয়েই কথা বলে। যখন খেলা তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম দিনে পৌঁছয়, তখন বিষয়টা চ্যাল꧋েঞ্জিং হয়ে ওঠে।’ ট্র্যাভিস হেড মূলত তাঁর বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত। তবে WTC-এ খুব একটা ভালো ফর্মে নেই তিনি। ১২ টেস্টে মাত্র ২৮.৬৮ গড়ে রান করেছেন হেড, তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর ১১৯।
ট্র্যাভিস হেড এই পডকাস্ট শোয়ে ইংল্যান্ডে কীভাবে বাউন্স সামলানোর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন সেই রহস্য ফাঁস করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি এটা ইংল্যান্ডে বহুবার করেছি। আমার মনে আছে প্রথম টেস্টের পর আমি নেট সেশনে খুব বেশি ক্রিকেট বল খেলিনি। তার পরিবর্তে আমি হলুদ বলে প্র্যাকটিস করেছিলাম, কারণ আমি জানতাম আমার বিরুদ্ধে তারা শর্ট বলের ব্যবহার খুব বেশি করবে।’ তিনি জানিয়েছেন হলুদ বলে অনুশীলন করার কারণ ছিল শর্ট পিচ ডেলিভারি সামলানোর লক্ষ্যে। তিনি বলেন, ‘আমি আমার আঙ্গুল ভাঙতে চাইনি কিন্তু আমি প্রস্তুতিও নিতে চেয়েছিলাম। এটা দিয়ে অনুশীলন করা মোটেও মজার বিষয় নয়। এটা দিয়ে প্র্যাকটিস করা মোটেও সহজ নয়।’ উল্লেখ্য, ভারত বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির অধীনে অস্ট্রেলিয়ার ব♍িরুদ্ধে ৫টি টেস্ট খেলবে। যার প্রথমটি অনুষ্ঠিত হবে প♒ার্থে।