হারানোর কিছু নেই। উগান্ডার কাছে বিশ্বকাপের আসরে মাঠে নামাই সব থেকে বড় প্র🎶াপ্তি। তার উপর যদি বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথমবার ম্যাচ জয়ের স্বাদ পাওয়া যায়, তার থেকে বড় পাওনা আ꧟র কিই বা হতে পারে! সঙ্গত কারণেই বৃহস্পতিবার টি-২০ বিশ্বকাপের ম্যাচে পাপুয়া নিউ গিনিকে হারিয়ে উচ্ছ্বাসে ভেসে গেলেন উগান্ডার ক্রিকেটাররা।
উগান্ডার টি-২০ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনই রূপকথার গল্পের মতো মনে হতে পারে। তবে বিশ্বকা🦩পের আসরে এসেই তাদের জার্সি নিয়ে ধমক শুনতে হয় আইসিসির। প্রথমবার টি-২০ বিশ্বকাপে মাঠে নামার আগে নিজেদের সর্বাঙ্গসুন্দর করে উপস্থাপনের চেষ্টায় দৃষ্টিনন্দন জার্সি তৈরি করে উগান্ডা। শুধুমাত্র স্পনসরের ছোট্ট লোগো ঠিক মতো চোখে পড়ছে না বলে উগান্ডাকে🅠 জার্সির নকশা বদলাতে হয় শেষেমশ।
বড় দলের ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি নতুন জার্সির সেট তৈরি এমন কিছু ক𒅌ঠিন নয়। তবে উগান্ডার মতো ছোট দেশের পক্ষে সেটা﷽ সম্ভব নয়। তাই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সাদামাটা জার্সিতেই মাঠে নামতে হয় তাদের।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই আফগানিস্তানের কাছে মাত্র ৫৮ রানে অল-আউট হয়ে যায় উগান্ডা। বড় হারেও যে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েননি ব্রায়ান মাসাবারা, সেটা বোঝা যায় পিএনজি ম্যাচেই। চলতি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডജিজকে প্রায় হারিয়ে দেওয়ার উপক্রম করেছিল পাপুয়া নিউ গিনি। বৃহস্পতিবার গ্রুপ লিগের ম্যাচে সেই পিএনজি-কে পরাজিত করে উগান্ডা। সেই সঙ্গে এটা নিশ্চিত হয়ে যায় যে, বিশ্বকাপ থেকে অন্তত শুধুমাত্র ব্যর্থতা নিয়ে দেশে ফিরতে হবে না উগান্ডাকে।
গায়ানায় সি-গ্রুপের ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে পাপুয়া নিউ গিনি। তারা ১৯.১ ওভারে মাত্র ৭৭ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ফ্র্যাঙ্ক নসুবুগা ৪ ওভারে ২টি মেডেন-সহ মাত্র ৪ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট তু🍌লে নཧেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে উগান্ডা ১৮.২ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ৭৮ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ১০ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেটে ম্যাচ জিতে পয়েন্টের খাতা খুলে ফেলে তারা।ꦿ রিয়াজাত আলি শাহ ৩৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। ম্যাচের সেরা হন তিনি।
এ꧂মন ঐতিহাসিক জয়ের পরে উগান্ডার ক্রিকেটারদের সেলিব্রেশন ছিল দেখার মতো। এমনিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলা দেখতেই গ্যালারিতে দর্শকের দেখা মেলেনি। সেখানে উগান্ডা বনাম পিএনজি ম্যাচ খালি গ্যালারিতে আয়োজিত হবে, এটা নিতান্ত স্বাভাবিক ব🐼িষয়। তাই গ্যালারিতে ক্রিকেটারদের জন্য গলা ফাটানোর লোক তেমন ছিল না। উগান্ডার ক্রিকেটাররা নিজেরাই ম্যাচ জয়ের আনন্দ উপভোগ করেন নিজেদের মতো করে।
টি-২০ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করার পরে উগান্ডার ক্রিকেটারদꦆের হাডলের মতো ঘিরে নাচে-গানে মেতে উঠতে দেখা গিয়েছিল। এবার পাপুয়া নিউ গিনিকে হারানোর পরে দেখা যায় ঠিক তেমনই ছবি। ক্রিকেটার থেকে শুরু করে সাপোর্ট স্টাফ, সকলে মিলে নেচে-গেয়ে দলের জয় উদযাপন করেন।