🅰 আগামী বছরে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। আইসিসির এই মেগা টুর্নামেন্টে খেলার কথা ভারতীয় ক্রিকেট দলেরও। কিন্তু পাকিস্তানে ভারতীয় দল দীর্ঘদিন খেলতে যায়না। তবুও পাক বোর্ড আশা করছে ১৭ বছরের অপেক্ষার পর ফের ভারতীয় দল যাবে পাক সফরে। খেলবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। আইসিসি ইভেন্ট হওয়ায় তাঁরা ভারতকে খেলার ব্যাপারে চাপ তৈরি করতে পারবেন বলেও মনে করছে। ভারতে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিদের সন্ত্রাস তৈরির চেষ্টার জন্য বহুদিন সেদেশে কোনও সিরিজ খেলে না ভারত। শুধু ক্রিকেটের ক্ষেত্রে নয়, অন্যান্য খেলার ক্ষেত্রেও সেদেশে ক্রীড়াবিদদের ছাড়তে আগ্রহ দেখায় না ভারত সরকার।
🌠খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, পাকিস্তানে এশিয়া কাপ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভারত সেখানে খেলতে যেতে রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ভারতের ম্যাচ হয় শ্রীলঙ্কায়। তাতে পাকিস্তান রুষ্ট হলেও কিছুই করার ছিল না, কারণ দীর্ঘদিন ভারতের তরফ থেকে শান্তির বার্তা দেওয়া হলেও ভারতে হামলা চালানো সন্ত্রাসবাদীদের বরাবরই তাঁরা রক্ষা করে। ফলে শত্রুতা ও ক্রিকেট একসঙ্গে সম্ভব নয়, বলে জানিয়ে দিয়েছিল ভারত।
আরও পড়ুন-🌳টানা পাঁচ ম্যাচে হার ধোনির দলের, অবাক কাণ্ড ঘটাল পঞ্জাব কিংস!
🎉চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের সব ম্যাচই দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের লাহোরে। ১৫ দিন ধরে চলা এই প্রতিযোগিতায় ভারতের সব খেলা একই শহরে দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। এছাড়া করাচি এবং রওয়ালপিন্ডিতে আইসিসির এই প্রতিযোগিতার অন্য ম্যাচগুলো হওয়ার কথা রয়েছে। লাহোরেই ফাইনাল ম্যাচ হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির। ভেনু বাছাই দেখে মনে হচ্ছে, পাকিস্তান ধরেই নিয়েছে ভারতীয় দলের যা পারফরমেন্স, তাতে তাঁরা ফাইনাল খেলবেই। সেই কারণেই লাহোরে ফাইনাল ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-🅺IPL 2024- বিরাটের স্ট্রাইক রেট নিয়ে টানা বিতর্ক, বেজায় চটেছেন প্রাক্তন সতীর্থ
💛লাহোরে ম্যাচ আয়োজনের প্রধানত দুটি কারণ। প্রথমত একই শহরে ভারতের সমস্ত খেলা দিলে নিরাপত্তার দিক থেকে মাথা ব্যথা কিছুটা কমবে তাঁদের। দ্বিতীয় লাহোর যেহেতু ওয়াঘা বর্ডারের কাছে ফলে ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকরা সেখানে খেলা দেখতেও যেতে পারবেন, অর্থাৎ কাছাকাছি হবে তাঁদের।
𝄹আরও পড়ুন-IPL 2024- বিরাটের স্ট্রাইক রেট নিয়ে টানা বিতর্ক, বেজায় চটেছেন প্রাক্তন সতীর্থ
𒆙ইতিমধ্যেই এই ভেনুর তালিকা আইসিসির কাছে পাঠিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। আগামী বছর ফেবরুয়ারির মাঝামাঝি দুসপ্তাহ ধরে চলা এই প্রতিযোগিতার আসর বসতে চলেছে। ২০১৫ সালের পর থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহনকারী সব দলই পাকিস্তানে সিরিজ খেলতে গেছে, ব্যতিক্রম একমাত্র ভারত। ফলে আদৌ তাঁরা আগামী বছরেও খেলতে যাবেন কিনা, সেই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। মুম্বই হামলার আগে ২০০৮ এশিয়া কাপে ভারত দল পাঠিয়েছিল। কিন্তু এরপর আর ভারতীয় দল পাকিস্তান সফরে যায়নি। এক্ষেত্রেও মেন ইন ব্লুজরা সেদেশে যাবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেবে ভারত সরকার। কারণ এই বিষয় বিসিসিআইয়েরও ক্ষমতা নেই এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। উল্লেখ্য ১৯৯৬ বিশ্বকাপের পর এই প্রথম পাকিস্তানে ফের কোনও আইসিসি প্রতিযোগিতার আসর বসতে চলেছে।