একদা নিউজিল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপে মাঠে নেমেছেন কোরি অ্যান্ডারসন। কিউয়িদের হয়ে খেলেছেন টেস্ট, ওয়ান ডে ও টি-২০, তিন ফর্ম্যাটের আন্ত🐎র্জাতিক ক্রিকেট। কিছুদিন আগেই তিনি আমেরিকার জার্সিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন। অবশেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে টি-২০ বিশ্বকাপেও মাঠে নেমে পড়লেন তারকা অল-রাউন্ডার𓆏।
যদিও আমেরিকার হয়ে চলতি টি-২০ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে কোরি অ্যান্ডারসনকে নিয়ে কৌতুহল তৈরি হয় ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে। আসলে আমেরিকার বাকি ১০ জন ক্রিকেটারের সঙ্গে অ্যান্ডারসনের জার্সির কিছু তফাৎ চোখে পড়ে স্পষ্ট। অ্যান্ডারসনের জার্সির পিছনে কোনওꦑ নম্বর লেখা ছিল না। এমনকি তাঁর নামটাও উধাও। নাম-নম্বরহীন এমন জার্সি পড়ে কেন মাঠে নামলেন অ্যান্ডারসন, তা ♛নিয়েই তৈরি হয় জল্পনা।
যদিও পরে জানা যায় আসল কারণ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের 𓄧পোশাকের উপরে আইসিসির কড়া নজর থাকে। বিধিভঙ্গ করা পোশাক পরে ক্রিকেটারদের মাঠে নামার অনুমতি দেয় না আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা। ঠিক সেই কারণেই এবছর উগান্ডাকে তাদের বিশ্বকাপ জার্সির নকশা বদল করতে বাধ্য করে আইসিসি।
যদিও অ্যান্ডারসনের ক্ষেত্রে আইসিসির কোনও বিধি-নিষেধ ছিল না। আসলে আমেরিকার ক্রিকেট বোর্ডের তরফে বিশ্বকাꦫপের জন্য অ্যান্ডারসনকে যে জার্সি দেওয়া হয়েছিল, তার পরিমাপ সঠিক ছিল না। অ্যান্ডারসনের গায়ে হয়নি সেই জার্সি। তাই তিনি নাম-নম্বর ছাড়াই স্বচ্ছন্দে ক্র𝕴িকেট খেলতে পারেন এমন জার্সি পরে মাঠে নেমে পড়েন।
আমেরিকা দলের এক সূত্র মারফৎ টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানতে পারে আসল কারণ। সেই সূত্রই সংবাদমাধ্যমটিকে জানান যে, কানাডার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচের আগে কোরি অ্যান্ডারসনকে যে জার্সি দেওয়া হয়েছিল, তা তাঁর গায়ে ফিট হচ্ছিল না। সেই কা🐲রণেই অন্য জার্সি পরে মাঠে নামেন তিনি।
উল্লেখ্য, টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২৪-এর উদ্বোধনী ম্যাচে কানাডাকে ১৪ বল বাকি থাকতে⛄ ৭ উইকেটে পরাজিত করে আমেরিকা। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে কানাডা। তারা ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৯৪ রান সংগ্রহ করে। ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৪৪ বলে ৬১ রান করেন নভনীত ধালিওয়াল। ৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩১ বলে ৫১ রান করেন নিকোলাস কার্টন। কোরি অ্যান্ডারসন ৩ ওভারে ২৯ রান খরচ করে ১টি উইকেট দখল করেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে আমেরিকা ১৭.৪ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৯৭⛎ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৪টি চার ও ১০টি ছক্কার সাহায্যে ৪০ বলে ৯৪ রান করে অপরাজিত থাকেন অ্যারন জোনস। ম্যাচের সেরা হন তিনিই।