🅷 Colin Munro Shows Real Sportsmanship withdraws Shadab Khan appeal: আহত মার্টিন গাপ্তিলকে রান আউট করেন শাদাব খান এরপরেই এগিয়ে আসেন কলিন মুনরো। তিনি শাদাবকে আপিল করতে মানা করেন এবং আউটের এই আপিল প্রত্যাহার করে বাইশ গজে নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন। আসলে ২০২৪ সালের ইন্টারন্যাশানাল লিগ টি টোয়েন্টির ১৩তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল শারজাহ ওয়ারিয়র্স ও ডেজার্ট ভাইপার্স। এই ম্যাচে শারজাহ ওয়ারিয়র্স জিতলেও, ম্যাচে আসল স্পোর্টসম্যান স্পিরিট দেখিয়ে সকল মন জিতেছেন ডেজার্ট ভাইপার্সের ক্যাপ্টেন কলিন মুনরো।
ঘটনাটা কী ঘটেছিল?
🃏আহত খেলোয়াড়কে রান আউট করে শাদাব খান, যা দেখে সকলেই অবাক হয়েগিয়েছিলেন। আসলে এই ম্যাচে শারজাহ ওয়ারিয়র্সের ব্যাটিং চলাকালীন ১২তম ওভারের প্রথম বলেই শাদাবের বলে স্ট্রাইকিং শটে মারেন জো ডেনলি। এটি সরাসরি নন-স্ট্রাইকারে দাঁড়িয়ে থাকা মার্টিন গাপ্তিলের দিকে চলে যায়। বলটি সোজা গিয়ে মার্টিন গাপ্তিলের গায়ে লাগে। এই কারণে মার্টিন গাপ্তিল মাঠেই পড়ে যান। চোট লাগায় আহত হন তিনি। সেই সময়ে অবশ্য রান নেওয়ার জন্য ক্রিজ ছেড়ে ছিলেন তিনি। ফলে ক্রিজের বাইরে পড়েছিলেন মার্টিন গাপ্তিল। তখনই বলটি মার্টিন গাপ্তিলের গায়ে লেগে শাদাব খানের হাতে আসে। প্রতিপক্ষ ব্যাটারকে আউট করার এমন সুযোগ ছাড়েননি শাদাব। চোট পাওয়ার পরে মার্টিন গাপ্তিল যখন ক্রিজে ফিরে আসার কঠিন চেষ্টা করছেন তখনই তাঁকে রান আউট করেন শাদাব খান।
𒅌এরপরে তিনি মার্টিন গাপ্তিলের দিকে তাকিয়ে হাসেন এবং আউটের আপিল করতে থাকেন। আসলে তখনও ক্রিজে এসে পৌঁছাতে পারেননি মার্টিন গাপ্তিল। এখানে শাদাব খান সুযোগের সদ্ব্যবহার করে বল ধরে বেইল উড়িয়ে দেন। ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী মার্টিন গাপ্তিল আউট হলেও খেলার স্পিরিট অনুযায়ী এটা ঠিক হয়নি। শাদাব খানের এমন আচরণ দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন শারজাহ ওয়ারিয়র্সের ব্যাটার মার্টিন গাপ্তিল। সেই সময়ে এগিয়ে আসেন ডেজার্ট ভাইপার্সের অধিনায়ক কলিন মুনরো। তিনি এসে শাদাব খানকে এই আউটের আপিল কতে মানা করেন। তিনি নিজেও এর আপিল করেননি। যা দেখে সকলের মন জেতেন মুনরো।
ম্যাচে কী হয়েছিল?
🐓আমরা যদি এই ম্যাচের কথা বলি, শারজাহ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে, ডেজার্ট ভাইপার্স টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। তারপরে অধিনায়ক ক্যাডমোরের ৩৪ বলে ৬৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস এবং গাপ্তিলের ৩৯ রানের ইনিংসের ভিত্তিতে শারজাহ দল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান। জবাবে ডেজার্ট ভাইপার্সদের হয়ে অ্যালেক্স হেলস ৪০ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলেন। আজম খান যোগ করেন ২২ বলে ৩৫ রান। যাইহোক, তা সত্ত্বেও, ২০ ওভারে পরে ডেজার্ট ভাইপার্স স্কোর বোর্ডে সাত উইকেটের বিনিময়ে মাত্র ১৬৭ রান তুলতে সক্ষম হয় এবং তারা ৭ রানের ব্যবধানে ম্যাচটি হেরে যায়। যদিও এদিনের ম্যাচটি ডেজার্ট ভাইপার্স হেরে ছিল, তবে তাদের দলের ক্যাপ্টেন কলিন মুনরো সকলের মন জেতেন।