ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর শনিবার জোর দিয়ে বলেছেন যে, আসন্ন আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্♏স ট্রফি ২০২৫-তে বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার ‘বড় ভূমিকা’ থাকবে এবং এই ব্যাটিং ত⛎ারকারা দেশের ক্রিকেটে ‘অমূল্য অবদান’ রাখবেন। সাম্প্রতিক সময়ে কোহলি ও রোহিতের ফর্ম নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যেই ভারতীয় দলের হেড কোচের এমন মন্তব্য অনেককেই অবাক করেছে।
বিসিসিআই বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে গৌতম গম্ভীর বলেন, ‘আমি মনে করি রোহিত ও বিরাট, তারা ড্রেসিং রুমে প্রচুর মূল্য যোগ করেন। তারা ভারতীয় ক্রিকেটেও অনেক কিছু যোগ করেন। তাদের বিশাল ভূমিকা থাকবে।’ গম্ভীর আরও বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, এই খেলোয়াড়রা ভীষণ ক্ষুধার্ত, তারা দেশের হয়ে খেলত༒ে চায়। তারা দেশের হয়ে পারফর্ম করতে এবং জয় এনে দিতে চায়।’
আরও পড়ুন… ভিডিয়ো: মুম্বইয়ের রাস্তায় বল-ব্যাট ছাড়াই ক্র🐻ি😼কেট খেললেন ইংল্যান্ডের তারকা ব্যাটার বেন ডাকেট
গম্ভীর ব্যাখ্যা করে বলেছেন যে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময় ভারতীয় দল কোনও মুহূর্তের জন্যও আত্মতুষ্ট হতে পারবে না, কারণ এটি ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের তুলনায় একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন চ্যালেঞ্জ। গম্ভীর বলেন, ‘চ💃্যღাম্পিয়ন্স ট্রফি ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসবে। এখানে লিগ পর্বে মাত্র তিনটি ম্যাচ থাকে, তাই প্রতিটি ম্যাচই মরণ-বাঁচন লড়াই হবে। এখানে আপনি কোনও পর্যায়েই থামতে পারবেন না। তাই আমরা শুরুটা ভালোভাবে করতে চাই, কারণ প্রতিযোগিতাটি জিততে হলে পাঁচটি ম্যাচ জিততে হবে।’
গৌতম গম্ভীর ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে অতিরিক্ত উত্তেজনা তৈরি না করার আহ্বান জানান। এই ম্যাচটি ২৩ ফে🎉ব্রুয়ারি দুবাইতে অনুষ্ঠিত হবে। গম্ভীর বলেন, ‘আমরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শুধুমাত্র ২৩ তারিখ♔ের ম্যাচটা জেতার লক্ষ্য নিয়ে যাচ্ছি না। আমাদের লক্ষ্য পাঁচটি ম্যাচের প্রতিটিই সমান গুরুত্ব সহকারে খেলা, কারণ দুবাই যাওয়ার উদ্দেশ্য হল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় করা, শুধুমাত্র একটি ম্যাচ জেতা নয়। এরপরে তিনি বলেন, ‘তবে হ্যাঁ, যদি সেই ম্যাচ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার পথে পড়ে, তাহলে অবশ্যই আমরা সেটিকে যতটা গুরুত্ব দেওয়া সম্ভব, ততটাই দেব। ভারত ও পাকিস্তানের ম্যাচ সবসময় আবেগপ্রবণ হয়, তবে শেষ পর্যন্ত প্রতিযোগিতা একই থাকে।’
আরও পড়ুন… ১৯৯৭ সালে প্রথমবার ক্রিকেট মাঠে পা রাখার পর ২৮ বছর… শেষ ম্যাচ খেলে 🌊মনের কথা লিখলেন ঋদ্ধিমান সাহা
গম্ভীর অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের প্রশংসা করেন। অনেকেই বলছেন কোহলি ও রোহিতের অবসরের পর ভারতের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে নতুন প্রাণসঞ্চার করেছেন সূর্যকুমার যাদব। গম্ভীর বলেন, ‘আমি ও সূর্য একই পৃষ্ঠায় আছি যখন আমরা নিঃস্বার্থতা ও নির൲্ভীকতার কথা বলি। তবে হ্যাঁ, আমরা আরও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে এগোতে চাই, কারণ এভাবেই আমরা একটি শক্তিশালী টি-টোয়েন্টি দল হিসেবে গড়ে উঠব, এবং আশা করি অন্যান্য ♏ফরম্যাটেও এটা দেখা যাবে।’
গম্ভীর আরও বলেন, ‘আমি মনে করি ছেলেরা অসাধারণ পারফর্ম করেছে। তাদের দক্ষতা, মানসিক দৃঢ়তা, এবং সামর্থ্য রয়েছে। গত ছয় মাসে তারা যা করেছে, তা সত্যিই ♛অসাধারণ।’ ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের নীতির বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে গম্ভীর বলেন, ‘এই টি-টোয়েন্টি দলের ভিত্তি দুটি মূলনীতির উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেটি হল নিঃস্বার্থতা ও নির্ভীকতা। আমরা এই মানসিকতা গড়ে তুলতে চাই, এবং তরুণ খেলোয়াড়রা অসাধারণভাবে এতে সাড়া দিয়েছে।’