বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে চলা ভারতের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে সরে দাঁড়ালেন তারকা অজি তারকা ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। তাঁর পরিবর্তে দলে ঢুকেছেন অলরাউন্ডার অ্যারন হার্ডি। ওয়ার্নার এবারের বিশ্বকাপে অজিদেꦆর হয়ে সর⛦্বোচ্চ রান করেছেন। ৪৮.৬৩ গড়ে ৫৩৫ রান করে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন তিনি।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘নির্বাচকেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, ওয়ার্নার একটি সফল বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করার পর দেশে ফিরে আসবেন।’ ওয়ার্নার গত সপ্তাহে বলেছিলেন যে, তিনি ২০২৪-২৫ সালে আর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে চুক্তি করবেন না। তবে পরবর্তী বছর আমেরিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০২৫ সালে পাকিস্🤡তানে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য তিনি উপলব্ধ থাকবেন।
ওয়ার্নারের নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ার অর্থ হল, বিশ্বকাপ জয়ী অস্ট্রেলিয়ার ওডিআই স্কোয়াডের মাত্র সাত জন প্লেয়ারকে ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজের জন্য পাওয়া যাবে। তাঁরা হলেন শন অ্যা🌳বট, ট্র্যাভিস হেড, জোশ ইংলিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, স্টিভ স্মিথ, মার্কাস স্টইনিস এবং অ্যাডাম জাম্পা। পাশাপাশি রিজার্ভ স্পিনার তনভীর সঙ্ঘাকেও দলে রাখ𓂃া হয়েছে।
সদ্য সমাপ্ত ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে দিতে পেরেছে অস্ট্রেলিয়া। টানা ১০ ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠা ভারতের বিপক্ষে অজিদের এই জয় নিঃসন্দে𓂃হে বিশাল বড় বিষয়। জোড়া হ💜ার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার। এর পর টানা নয় ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন। ২০০৩ সালের পর আরও একবার ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া।
আর পড়ুন: রোহিত বিশ্বের সবচেয়ে দুর্ভাগা🐼 মানুষ- ভ♏ারত অধিনায়কের জন্য মর্মাহত ম্যাচ উইনার হেড
ভারতীয় ব্যাটিং যে কোনও দলের কাছেই ঈর্ষার কারণ। লিগ পর্বে প্রথমে ব্যাট করে বোর্ডে ৩০০ প্লাস রান তোলাটা অভ্যাসে পরিণত করেছিল টিম ইন্ডিয়া। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসেꦐর বিরুদ্ধে ৪১০ রান করেছিল ভারত। এমন কী সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধেও প্রায় ৪০০ রান করেছিল তারা। স্বাভাবিক ভাবেই ফাইনালে ভালো কিছুরই প্রত্যাশা করেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট অনুরাগীরা। টস জিতে প্যাট কামিন্স ফিল্ডিং নিতেই প্রত্যাশা বাড়ে। কিন্তু তারকাখচিত ব্যাটিং লাইন আপ সাকুল্যে মাত্র ২৪০ রান ꧅তুলতে পারবে, এমনটা কেউই প্রত্যাশা করেনি। কিন্তু ভারত হেরে যায় অস্ট্রেলিয়ার দুরন্ত ক্রিকেট মস্তিষ্কের কাছে। টস জিতে আগে বল করা হোক বা ফিল্ডিং সাজানো, সব দিকেই ছিল অস্ট্রেলিয়ার বুদ্ধির ছাপ। ব্যাটিংয়েও সেটা দেখিয়েছেন ট্র্যাভিস হেড এবং মার্নাস ল্যাবুশেন।