ফাইনালের শুরুতেই 'বিশ্বকাপ' জিতে গেল ভারতীয় বায়ুসেনার 'সূর্যকিরণ🍎'। রবিবার টসের পরই গুজরাটের আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের উপর দিয়ে মুগ্ধতা ছড়াল 'সূর্যকিরণ অ্যারোবেটিক টিম'-র ন'টি হক এমকে ১৩২ এয়ারক্রাফট। অবিশ্বাস্য ‘এয়ার শো’-র সাক্ষী থাকলেন নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে লাখখানেক দর্শক। টসের পর (টসে জিতে প্রথমে বোলিং নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া) ভারতীয় এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা যখন মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন আমদাবাদের উপর ‘এয়ার শো’ হয়। দু'দেশের জাতীয় সংগীতের পর আরও একবার নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের উপর দিয়ে উড়ে যায় 'সূর্যকিরণ'।
আরও পড়ুন: IND vs AUS, CWC 2023 Final Live: দুর♐ন্ত ফিল্ডিং অজিদের, তবে দ্বিতীয় ওভারে এল ১০ রান
এমনিতে বিশ্বকাপের ফাইনালের শুরুতে কোনও একসঙ্গে ‘ক্লোজি💝ং সেরিমনি’-র🔯 আয়োজন করা হয়নি। বরং ম্যাচের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ম্যাচের আগে শুধুমাত্র 'সূর্যকিরণ অ্যারোবেটিক টিম'-র ‘এয়ার শো’ হয়। আর সেই ‘শো’-র হাতে ধরে বিশ্বকাপ ফাইনালের শুরুতেই ‘চ্যাম্পিয়ন’ হয়ে যায় ভারতীয় বায়ুসেনা। সেই এয়ার শোয়ে মুগ্ধ হয়ে যান ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা ধারাভাষ্যকার সুনীল গাভাসকর, ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা ধারাভাষ্যকার নাসের হুসেনরাও।
ভারতীয় বায়ুসেনার 'সূর্যকিরণ অ্যারোবেটিক টিম'
১) ১৯৯৬ সালে 'সূর্যকিরণ অ্যারোবেটিক টিম' (ভারতীয় বায়ুসেনার ৫২ তম স্কোয়াড্রনের অংশ) তৈরি করা হয়। সেই 'সূর্যকিরণ অ্যারোবেটিক টিম'-এ ভারতীয় বায়ুসেনার অতꦉ্যন্ত দক্ষ এবং প্রশিক্ষিত পাইলটরা থাকেন। তাঁরা অ্য়ারোবেটিক্সের মাধ্যমে সকলকে মুগ্ধ করে থাকেন। তবে এই প্রথমবার কোনও কোনও খেলাধুলোর প্রতিযোগিতায় পারফর্ম করবে 'সূর্যকিরণ অ্যারোবেটিক টিম'। যা ভারতীয় বায়ুসেনার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে চিহ্নিত।
২) সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুয💮ায়ী, আকাশে 'ভিকট্রি' ফর্♏মেশন এবং বিভিন্ন ফর্মেশনের মাধ্যমে আকাশে প্রদর্শনী দেখায় ভারতীয় বায়ুসেনা।
৩) সাধারণত বছরে ৩০টির বেশি 'এয়ার শো'-তে অংশগ্রহণ করে থাকে ভারতীয় বায়ুসেনার 'সূর্যকিরণ অ্যা🧸রোবেটিক টিম'। প্রশিক্ষণের সময় দিনে তিনবার ওড়েন ভারতীয় বায়ুসেনার অফিসাররা।
৪♒) যখন ভার🔴তীয় বায়ুসেনার 'সূর্যকিরণ অ্যারোবেটিক টিম' আকাশে প্রদর্শনী দেখায়, তখন ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার থেকে ৬৫০ কিলোমিটার বেগে বাঁক খায়। কতটা গতিবেগ থাকবে, সেটা ভারতীয় বায়ুসেনার অফিসারদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির উপর অনেকটা নির্ভর করে থাকে।