♛ বিশ্বকাপের মঞ্চে স্পটলাইট কাড়ার পরেই মহম্মদ রিজওয়ান বড়সড় বিতর্ক বাঁধিয়ে বসেন। মঙ্গলবার হায়দরাবাদে শ্রীলঙ্কার ঝুলিয়ে দেওয়া বড় রানের টার্গেট তাড়া করে জয় ছিনিয়ে নেয় পাকিস্তান। দুর্দান্ত শতরান করে পাকিস্তানকে জয় এনে দেন মহম্মদ রিজওয়ান।
🐼 যেভাবে দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচ ফিনিশ করেন পাক উইকেটকিপার, তাঁকে যথার্থই ম্যাচের নায়ক বলতে হয়। তবে তিনি খেলার মঞ্চ থেকে রাজনৈতিক বিষয়ে মন্তব্য করে প্রবল বিতর্ক তৈরি করে বসেন। সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় রিজওয়ান তাঁর ম্যাচ জেতানো ইনিংস উৎসর্গ করেন গাজার ‘ভাই-বোনেদের’।
♏ উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, আইসিসি ক্রিকেটের মাঠে কোনও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে চর্চা অথবা প্রচার একেবারেই বরদাস্ত করে না। তাই হামাস-ইজরায়েল দ্বন্দ্ব বা ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধ নিয়ে ক্রিকেটারদের মন্তব্যকে প্রশয় দেওয়ার কথা নয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার। যদিও এক্ষেত্রে আইসিসির ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে না রিজওয়ানকে।
꧑ পাক ক্রিকেটারের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেয় আইসিসি। যেহেতু রিজওয়ান ক্রিকেটের মাঠে এমন মন্তব্য করেননি, তাই বিষয়টি তাদের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না বলে বিতর্ক থেকে হাত ধুয়ে ফেলে আইসিসি। তাদের দাবি, ক্রিকেটাররা ব্যক্তিগতভাবে অথবা তাঁদের বোর্ড নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কীভাবে ব্যবহার করবে, সে বিষয়ে আইসিসি নাক গলাবে না।
ꦉ নেটিজেনদের একাংশ অবশ্য রিজওয়ানের এমন মন্তব্যকে ভালো চোখে দেখছে না। অনেকেরই দাবি, রাজনৈতিক বিষয় থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখে খেলায় মন দেওয়া উচিত রিজওয়ানের।
🍰 কেউ কেউ এমনও দাবি করছেন যে, এটা নিছকই প্রচারের আলো টানার চেষ্টা রিজওয়ানের। কেননা পাকিস্তান যদি শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একটা ম্যাচ জেতে, তা কারও কোনও উপকারে লাগবে না। যদি যুদ্ধ পীড়িতদের সাহায্য করতে হয়, তবে টুইট না করে বরং নিজের উপার্জনের অর্থ দান করুন রিজওয়ান। কেউ কেউ আবার বিস্ময় প্রকাশ করছেন এই বলে যে, এত বড় ক্রিকেটার হয়েও খেলার মাঝে কেন ধর্মকে টেনে আনেন রিজওয়ান?