ঘরোয়া ক্রিকেটে নজিরবিহীন ঘটনা। সিকে নাইডু ট্রফিতে ৪০০ রানের ইনিংস খেলে শিরোনামে উঠে এল হরিয়ানার ক্রিকেটার যশবর্ধন দালাল। শনিবার খেলার দ্বিতীয় দিনে তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। ৮ নভেম্বর থেকে সুলতানপুরের গুরুগ্রাম ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিকে নাইডু ট্রফির ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে মুম্বই এবং হরিয়ানা। সেখানে প্রথমে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মুম্বই। তখন তাদের বোলাররা হয়তো স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি এই ভাবে মার খেতেꦺ হবে। ওপেন করতে এসে দুরন্ত শুরু করেন যশবর্ধন। তাঁকে যোগ্য সহায়তা করেন অপর ওপেনার আর্শ রাঙ্গা। দু’জনে মিলে জুটিতে প্রথম উইকেটে ৪১০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। ১৫১ রানে আউট হয়ে যান আর্শ। তবে অটুটু থাকেন যশবর্ไধন।
দ্বিতীয় দিনে এসেও নট আউট রয়েছেন তিনি। ৪৬৩ বলে ৪২৬ রান করে অপরাজিত রয়েছেন যশবর্ধন। তিনি এই ইনিংসে মোট ৪৬টি চার এবং ১২টি ছয় মেরেছেন। উল্টদিক থেকে লাগাতার উইকেট পড়তে থাকলেও তিনি নিজের খেলা চালিয়ে গেছেন। এদিন যশবর্ধন সমীর রিজভির রেকর্ড ভেঙে📖 দিলেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রিজভি প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সিকে নাউডু ট্রফিতে ত্রিশত রান করেছিলেন।
উত্তরপ্রদেশের হয়ে খেলার সময় ২৬৬ বলে ৩১২ রান করে রেকর্ড গড়েছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের প্রাক্তন এই ক্রিকেটার। সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তিনি এই ইনিংসটি খেলেছিলেন। রিজভির রেকর্ড মাত্র ৯ মাস স্থায়ী ছিল। শনিবার বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করে এই রেকর্ডই ভেঙে দিলেন যশবর্ধন দালাল। তাঁর বড় রানের সুবাদে দ্বিতীয় দিনের শেষে হরিয়ানার স্কোর ৮ উইকেট হারিয়ে ৭৩২। এখন দেখার তৃতীয় দিনে আর কত রান যোগ করতে পারেন যশবর্ধন। তিনি যেই রকম ফর্ম দেখিয়েছেন তা দেখে আগামিকালও তাঁর থেকে আরও বেশি কিছু আশা করা অন꧟্যায় হবে না।
সিকে নাইডু ট্রফি কী?&💎nbsp;কর্নেল সিকে নায়ডু ট্রফি হল একটি ঘরোয়া ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ যা ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ও আঞ্চলিক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিত্বকারী অনূর্ধ্ব ২৩ দলের মধ্যে খেলা হয়। এটির আয়োজন করে থাকে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (BCCI) এবং ভারতের প্রথম টেস্ট ক্রিকেট অধিনায়ক সিকে নায়ডুর নামে নামকরণ করা হয়েছে প্রতিযোগিতার। প্রতিটি ম্যাচ চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে টুর্নামেন্টটি অনূর্ধ্ব ২২, অনূর্ধ্ব ২৩, অনূর্ধ্ব ২৫ সহ বিভিন্ন বয়স সীমায় ভাগ করে খেলা হয়েছে।