কে হবেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী? তা নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে। তারইমধ্যে শনিবার সকালে দিল্লিতে পৌঁছালেন সর্বানন্দ সোনোওয়াল এবং হিমন্ত বিশ্বশর্মা। পৃথকভাবে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। সূত্রের খবর, পরবর্তী সরকারের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। শনিবার সকাল ১০ টা ৩০ মিনিট নাগাদ দিল্লিতে অবতরণ করেন অসমের বিজেপির দুই শীর্ষস্থানীয় নেতা। দু'জনের সঙ্গে ছিলেন নাহারকাটিয়ার বিধায়ক তরঙ্গ গগৈ এবং তিনখংয়ের বিধায়ক বিমল বোরা। হিমন্তের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত তরঙ্গ। বিমল আবার সর্বানন্দ গোষ্ঠীর বিধায়ক। সেই দৃশ্য থেকে রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, মুখে সেভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া না মিললেও সোনোওয়াল এবং হিমন্তের মধ্যে যে ঠান্ডা লড়াই চলছে, তা একেবারে স্পষ্ট।বিমানবন্দরের বাইরেও সেই ‘ঠান্ডা লড়াইয়ের’ রেশ ধরা পড়ে। দিল্লি বিমানবন্দর থেকে সোজা নড্ডার বাসভবনে যান হিমন্ত। ততক্ষণে অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সাংগঠনিক) বি এল সন্তোষও সেখানে চলে আসেন। সূত্রের খবর, ৪৫ মিনিট মতো তাঁদের মধ্যে বৈঠক হয়। বেলা ১২ টা ১৫ মিনিট নাগাদ নড্ডার বাসভবন থেকে বেরিয়ে যান হিমন্ত। তারপরই নড্ডার বাসভবনে ঢোকেন সোনোওয়াল। যিনি বিমানবন্দর থেকে দিল্লিতে নিজের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, এবার কোনও মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ছাড়াই অসমে লড়াই করেছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের ঘোষণার পর বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং জানিয়েছিলেন, ভোটের পর দলের সংসদীয় কমিটি বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঠিক করা হবে। তার জেরে অসমের রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়। প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছিল, দলের অন্দরেই কি বিরোধের মুখে পড়েছেন সোনোওয়াল? নাকি গত পাঁচ বছরে তাঁর পারফরম্যান্সে খুশি নয় বিজেপি? যদিও রাজনৈতিক মহলের দাবি ছিল, মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে সোনোওয়ালের সঙ্গে হিমন্তের দীর্ঘদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছে। তাই কোন একপক্ষের ‘চটিয়ে’ তড়িঘড়ি মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী ঘোষণা করতে চায়নি বিজেপি। পুরোটাই ভোটের পরের জন্য ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভোট মিটলেও মুখ্যমন্ত্রিত্বের সমস্যা যে মেটেনি, তা সোনোওয়াল এবং হিমন্তকে দিল্লিকে তলব থেকেই স্পষ্ট বলে মত রাজনৈতিক মহলের।