কে হবেন অসমের বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী? আগামিকাল মিলতে পারে সেই লাখ টাকার প্রশ্নের জবাব। এমনটাই জানালেন অসমের বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার বাসভবন থেকে বৈঠক সেরে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামিকাল গুয়াহাটিতে বিজেপির বিধায়কদের বৈঠক হতে পারে। সেখানেই যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর মিলবে।’একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে অসমে বিজেপি জোট ক্ষমতা এলেও নয়া সরকারের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনার অন্ত নেই। বিশেষত মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে সর্বানন্দ সোনোওয়ালের সঙ্গে হিমন্তের যে 'ঠান্ডা লড়াই' চলছে, তা রাজনৈতিক মহলে একেবারেই অজানা নয়। তার জেরে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর সপ্তাহ ঘুরতে চললেও মুখ্যমন্ত্রী বেছে উঠতে পারেনি বিজেপি। সেই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে তলব করা হয় সোনোওয়াল এবং হিমন্তকে। সেইমতো শনিবার সকাল ১০ টা ৩০ মিনিট নাগাদ দিল্লিতে অবতরণ করেন অসমের বিজেপির দুই শীর্ষস্থানীয় নেতা। দু'জনের সঙ্গে ছিলেন নাহারকাটিয়ার বিধায়ক তরঙ্গ গগৈ এবং তিনখংয়ের বিধায়ক বিমল বোরা। হিমন্তের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত তরঙ্গ। বিমল আবার সর্বানন্দ গোষ্ঠীর বিধায়ক। সেই দৃশ্য থেকে রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, মুখে সেভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া না মিললেও সোনোওয়াল এবং হিমন্তের মধ্যে যে ঠান্ডা লড়াই চলছে, তা একেবারে স্পষ্ট।বিমানবন্দরের বাইরেও সেই ‘ঠান্ডা লড়াইয়ের’ রেশ ধরা পড়ে। দিল্লি বিমানবন্দর থেকে সোজা নড্ডার বাসভবনে যান হিমন্ত। ততক্ষণে অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সাংগঠনিক) বি এল সন্তোষও সেখানে চলে আসেন। সূত্রের খবর, ৪৫ মিনিট মতো তাঁদের মধ্যে বৈঠক হয়। বেলা ১২ টা ১৫ মিনিট নাগাদ নড্ডার বাসভবন থেকে বেরিয়ে যান হিমন্ত। তারপরই নড্ডার বাসভবনে ঢোকেন সোনোওয়াল। যিনি বিমানবন্দর থেকে দিল্লিতে নিজের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। ঘণ্টাখানেক পরে আবারও নড্ডার বাসভবনে ফিরে আসেন হিমন্ত। সেখানে সোনোওয়াল এবং হিমন্তের উপস্থিতিতে আরও ঘণ্টাদেড়েক বৈঠক চলে। তাতেও সমাধানসূত্র মিলেছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সূত্রের খবর, অসমের দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সামান্য এগিয়ে হিমন্ত।