পুরভোটে রাজ্যজুড়ে একেবারে সবুজ সুনামি। কিন্তু পাহাড়ের চিত্রটা একেবারেই আলাদা। মাত্র তিনমাস আগে যে পার্টির জন্ম, সেই হামরো পার্টিকেই বেছে নিলেন পাহাড়ের সিংহভাগ ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে বিমল গুরুং ও অনীত থাপার উপর কার্যত আস্থা রাখলেন না পাহাড়ের অধিকাংশ ওয়ার্ডের মানুষ। বিজেপি ও তৃণমূলও কোণঠাসা। অজয় এডওয়ার্ডের হাত ধরে যে পার্টি পাহাড়ের মানুষকে নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন সেই দলকেই দার্জিলিং পুরসভায় ক্ষমতায় আনলেন বেশিরভাগ ভোটার। ৩২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টিতেই জয়ী হয়েছে হামরো পার্টি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গোর্খাল্যান্ডের স্বপ্ন দেখিয়ে পাহাড়ের মানুষকে বনধের রাজনীতির দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন বিমল গুরুং। দীর্ঘদিন অন্তরালে থাকার পরে তিনি তৃণমূলের সঙ্গে সখ্যতা বৃদ্ধি করলেও পুরভোটে তাঁকেও কার্যত বিশ্বাস করেননি পাহাড়ের সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে অনীত থাপার রাজনৈতিক অবস্থানকে ঘিরেও পাহাড়ের মানুষের মধ্যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। আর পুরভোটের ফলাফল ঘোষণার ঠিক ৯২দিন আগে যে দলের জন্ম সেই হামরো পার্টিতেই আস্থা রাখল দার্জিলিং। কিন্তু কে এই অজয় এডওয়ার্ড? গ্লেনারিস রেস্তরাঁ চেনেন? সেই রেস্তরাঁরই কর্ণধার অজয় এডওয়ার্ড। একটা সময় সুভাষ ঘিষিংয়ের জিএনএলএফের দার্জিলিং শাখার সভাপতি ছিলেন। তবে মন ঘিষিংয়ের সঙ্গে তাঁর কিছুটা মতপার্থক্য তৈরি হয়েছিল। যার জেরে ২০২১ সালের ২৫শে নভেম্বর তাঁর হাত ধরেই জন্ম নিয়েছিল হামরো পার্টি। আর সেই হামরো পার্টিই এবার পাহাড়ের পুরসভার দখল নিল। তবে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে তিনি হার মেনে নিয়েছেন। ফেসবুকে নিজেই লিখেছেন সেকথা। কিন্তু কোন কৌশলে বাজিমাত করলেন অজয়? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে,বিক্ষুব্ধ মোর্চা, ও জিএনএলএফের একাংশ তলায় তলায় হাত মিলিয়েছিলেন এডওয়ার্ডের সঙ্গে। আর সেই কৌশলেই বাজিমাত হামরো পার্টির। আর জেতার পরেই এডওয়ার্ড সোশ্য়াল মিডিয়ায় পাহাড়ে গণতন্ত্রের পক্ষেই সওয়াল করলেন তিনি। লিখেছেন চেয়ার আমার লক্ষ্য ছিল না।