পুরসভা নির্বাচনের সকাল থেকেই বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর অভিযোগ ঘিরে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ১৬৯ নম্বর বুথে। যদিও ইংরেজবাজার থানার বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, বহিরাগতদের নিয়ে বুথ জ্যাম করার চেষ্টা করছে বিজেপি। আর বিজেপির অভিযোগ, এজেন্টের বুথে ঢুকতে দিতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।কেন এমন উত্তেজনা দেখা দিল? মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দিরে প্রশাসনের উপর আস্থা রাখতে না পেরে বিজেপি প্রার্থী সঞ্জয় শর্মা নিজেই এগিয়ে গেলেন ভুয়ো ভোটার ধরতে। জড়িয়ে পড়লেন বিতর্কে। পুলিশের সামনেই তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়। তার জেরে উত্তেজনা দেখা দেয়। অভিযোগ, এই বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বুথে ছাপ্পা ভোট চলছে। যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কাকলি চৌধুরী। কী অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর? ইংরেজবাজার পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রামকিঙ্কর বালিকা বিদ্যালয়ে ব্যাপক বহিরাগতদের জমায়েতের অভিযোগ ওঠে। পুলিশের সামনেই জমায়েত হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু হয় বিজেপি প্রার্থী দীপশিখা মিশ্রের। বামফ্রন্ট–বিজেপির অভিযোগ এই এলাকার কাউন্সিলর তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর নেতৃত্বে এখানে জমায়েত করা হয়েছে।এখানে ছাপ্পা এবং ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ তোলে বিজেপি। তার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ফলে প্রায় হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে সেখানে ইংরেজবাজার থানার বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তারপর ভোটগ্রহণ হয় শান্তিপূর্ণভাবে।