নির্বাচনের আর ম🎉াত্র কয়েকটা দিন বাকি। ফলে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে নির্বাচন কমিশনে। ইতোমধ্যে ভোটের ডিউটিতে যাওয়ার জন্য নির্দেশিকা পেয়েছেন শিক্ষক, অধ্যাপকরা। এবারের নির্বাচনে পদাবনতি নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন শিক্ষকরা। আর এবার একই অভিযোগ তুললেন অধ্যাপকরা। তাঁদের বক্তব্য, নিচু পদে তাঁদের ভোটের ডিউটি দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন কয়েকজন অধ্যাপক।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্⭕ধী শিক্ষকদের ভোটের ডিউটি, অব্যাহতি চেয়ে নির্ব🌱াচন কমিশনে চিঠি
পঞ্চায়েত ভোটে পদাবনতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা🔥 করেছেন বীরভূমের সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের সাতজন অধ্যাপক। তাঁর বক্তব্য, তাঁরা কলেজের অধ্যাপক, সেই হিসেবে নির্বাচনের যে পোস্টে তাঁদের ডিউটি দেওয়ার কথা সেই পোস্টে তাঁদের ডিউটি দেওয়া হয়নি। তুলনামূলক নিচু পদে ডিউটি দেওয়া হয়েছে। তাঁꦑদের অভিযোগ, পঞ্চায়েতে বুথের ভিতর প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁদের অথচ তাঁরা যেহেতু কলেজের অধ্যাপক সেই হিসেবে তাদের মাইক্রো অবজারভার বা সমতুল্য অন্য কোনও পোস্টে ডিউটি দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা না করে তাদের পদাবনতি করা হয়েছে বলেই দাবি করেছেন অধ্যাপকরা। চলতি সপ্তাহে অধ্যাপকদের দাখিল করা এই মামলার শুনানি সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, এবার পঞ্চায়েত ভোটের ডিউটিকে কেন্দ্র করে এমনই অভিযোগ তুলেছিলেন স্কুল শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, অনেক প্রধান শিক্ষক এবং প্রবীণ শিক্ষকদের আগে প্রিজাইডিং অফিসারের ডিউটি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবার তাঁদের থার্ড পোলিং অফিসারের ডিউটি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকের বক্তব্য, অনেক প্রধান শিক্ষক এবং প্রবীন শিক্ষকদের প্রিজাইডিং অফিসারের পরিবর্তে পোলিং অফিসার করা হয়েছে। অথচ সদ্য যারা প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরিতে যোগ দিয়েছেন এমন অনেককেই প্রিজাইডিং অফিসার করা হয়েছে। এমনকী কম্পিউটার শিক্ষকদেরও প্রিজাইটিং অফিসার করা হয়েছে। এই নিয়ে শিক্ষকদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। যদিও বিরোধীদের দাবি শুধু তৃণমূল সংগঠনের শি⭕ক্ষকদেরই প্রিজাইডিং অফিসার করা হয়েছে। বিজেপির শিক্ষক সংগঠনের অভিযোগ ছিল, পরিকল্পিতভাবে বহু শিক্ষককে এমন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভোট চুরি করার জন্য। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলপন্থী শিক্ষক সং♛গঠন। তাঁদের দাবি ছিল, এমন ঘটনার দল করার কোনও বিষয় নেই।