তিনি অক্লান্ত – অবিরাম। উত্তরবঙ্গ সফর সেরে ট্রেনে শিয়ালদায় নেমেই সন্ত্রাস কবলিত বাসন্তীতে ছুটলেন রাজ্যপাল। সোমবার সকালে শিয়ালদা স্টেশনে নেমেই গাড়ি করে বাসন্তীর উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। সেখানে পৌঁছে নিহত তৃণমূল নেতা জিয়ারুল মোল্লার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। কথা বলেন রাজনৈতিক সন্ত্রাসে আহতদের সঙ্গেও।রবিবার কোচবিহার থেকে পদাতিক এক্সপ্রেসে ওঠেন রাজ্যপাল। সোমবার সকালে সেই ট্রেন পৌঁছয় শিয়ালদায়। ট্রেন থেকে নেমে গাড়িতে ওঠেন তিনি। রওনা দেন বাসন্তীর দিকে। বেলা ১১টা নাগাদ বাসন্তীতে পৌঁছন রাজ্যপাল। এর পর আক্রান্তদের পরিবারের সঙ্গে প্রথমে কথা বলেন তিনি। পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান। জানতে চান সংঘর্ষের কারণ সম্পর্কে। এর পর নিহত তৃণমূল কর্মী জিয়ারুল মোল্লার বাড়ি যান রাজ্যপাল। তাঁর পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেন।পরিবারের তরফে রাজ্যপালকে জানানো হয়, জিয়ারুল যুব তৃণমূল করতেন। তার ফলে তাঁকে মূল তৃণমূল নেতাদের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল। তার জেরেই তাঁকে বোমা ও গুলি মেরে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা। শনিবার রাতে বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ পঞ্চায়েতে উদ্ধার হয় জিয়ারুলের রক্তাক্ত দেহ। রবিবার সকালে সেই খবর পেয়ে নিহতের পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন রাজ্যপাল। তখন তিনি ছিলেন কোচবিহারে।