বৃষ্টি পড়ছে। তার মধ্যে কালো ছাতা মাথায় দিয়ে কারা যেন আনাগোনা করতে শুরু করেছে। কোচবিহার সার্🐟কিট হাউসে ওঁরা কারা? বৃষ্টি মাথায় করে একটু এগোতেই দেখা গেল ওঁরা বাম–কংগ্রেসের প্রতিনিধি। বৃষ্টিকে সঙ্গী করেই সেখানে এসেছেন। আ🐻র তো একসপ্তাহ বাকি নেই। আগামী ৮ জুলাই শুরু হয়ে যাবে রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে রাজ্যপালের কাছে নালিশ করতে এসেছে বাম–কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। আজ, শনিবার সকালে কোচবিহারের সার্কিট হাউসে ভিড় করেন সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপি নেতারা। তার মধ্যেই আবার সার্কিট হাউসে পৌঁছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকও।
বৃষ্টিস্নাত সকালে কোচবিহারে এমন দৃশ্যই দেখতে পাওয়া গেল। সবাই নালিশ করতেই সেখানে হাজির হয়েছেন। কারণ এই কোচবিহারের দিনহাটায় তৃণমূল কংগ্রেস꧋ কর্মীর উপর আক্রমণ থেকে শুরু করে খুন পর্যন্ত করা হয়েছে। আজ, শনিবার সেই সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় পরিদর্শনে যাবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানে বিজেপির আক্রমণ নিয়ে নানা কথা শুনতে হতে পারে রাজ্যপালকে। তাই আগাম কানে মন্ত্রণা দিতে এসেছেন তাঁরা বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যপাল যাতে কোনও কড়া পদক্ষেপ না করেন তার জন্যই এমন কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে কোচবিহারের বেসরকারি হাসপাতালে যাবেন রাজ্যপাল। আক্রান্ত এবং মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দিনহাটায়⛄ যাওয়ার কথা রাজ্যপালের। এই পরিস্থিতিতে সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে যান নিশীথ প্রামাণিক। তাঁর💮 অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে মনোনয়ন–পর্ব ও তার পরও কোচবিহারে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তাই স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত। অশান্তি ঠেকাতে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তিনি আগেই জানান, যেখান থেকে তিনি অশান্তির খবর পাবেন সেখানেই ছুটে যাবেন। আগে ভাঙড়, ক্যানিং গিয়েছিলেন। এবার এসেছেন কোচবিহারে।
আরও পড়ুন: ‘স♊েরা পড়ুয়াকে উপাচার্য করা হবে’🌄, রাজ্যপালের মন্তব্যে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে
অন্যদিকে এই রাজ্যপালের সঙ্গে বৃষ্টি মাথায় করে বিরোধীদের সাক্ষাৎ–পর্ব আসল ঘটনা গুলিয়ে দিতে বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম সংবাদমাধ্যমে রায় বলেন, ‘আহতদের দেখতে যাবেন রাজ্যপাল। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে 🍬যাবেন কিনা জানি না। আমাদের তৃণমূল কংগ্রেসের এক কর্মীকে খুন করা হয়েছে। তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন কি না জানি না। কারণ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক তাঁকে চোরাচালান কারবারি বলে তকমা সাঁটিয়ে দিয়েছেন।’ আবার কোচবিহারের সার্কিট হাউসে ভিড় জমিয়ে সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপি প্রার্থীদের দাবি, ভোটপ্রচারে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। বারবার হুমকি–সহ মারধরের ঘটনা ঘটছে।
ঠিক কী বলছেন রাজ্যপাল? পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর রাজ্যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুধুমাত্র কোচবিহারেই মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। তাই ক্যানিং ও ভাঙড়ের পর আজ কোচবিহারের দিনহাওটায় যাবেন রাজ্যপাল। এই আবহে সাতসকালে রাজপালের কাছে নালিশ জানাতে হাজির হয়েছেন বিরোধীরা। আর এখানে এসে রাজ্যপাল বলেন, ‘কোচবিহার থেকে হিংসার উদ্বেগজনক খবর পেয়েছি। আমি আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে চাই। রাজভবনকে ভ্রাম্যমান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রাজভবনের শান্তিকক্ষকেও ভ্রাম্যমান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’