পঞ্চায়েত নির্বাচনে খোদ বিরোধী 🥃দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামের সব আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি। শুধু নন্দীগ্রামে নয়, গোটা বাংলাতে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব শেষের পর দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ আসনে প্রার্থী দিতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। এই আবহে এবার নতুন সংযোজন শেখ সুফিয়ান–বিজেপি বৈঠক। জমি আন্দোলনের নেতা হিসাবে উঠে আসা এবং পরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ–সভাধিপতি হওয়া। এবার শেখ সুফিয়ানকে টিকিট দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলাও হয়েছিল। রাতে গিয়ে সেই সমস্যার সমাধান করতে হয়েছিল দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষকে। তারপর শান্ত পরিস্থিতি তৈরি হলেও এবার রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষ𝄹 নেতার সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন সুফিয়ান বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে।
ওই বিজেপি নেতার সঙ্গে হাত মিলিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে শিক্ষা দিতে চান শেখ সুফিয়ান বলে সূত্রের খবর। এই শেখ সুফিয়ান একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচন🌳ী এজেন্ট ছিলেন। তখনও তাঁর কর্তব্যে গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সুফিয়ান বরাবরই শুভেন্দু বিরোধী। সেখানে এমন বৈঠক আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। তাহলে কি টিকিট না পেয়েই কাছাকাছি আসা শুরু? এমন প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। নন্দীগ্রামের জাহাজবাড়ি নিয়ে আগে শুভেন্দু অধিকারীও প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেখানে সুফিয়ান যদি গোপন বৈঠক করে থাকেন তাহলে সেটা একটা আঁতাত বলেই মনে করা হবে।
এদিকে ব💖িজেপি এমন গোপন বৈঠকের কথা অস্বীকার করেছে। স🌠েটাও রাজনৈতিক স্বার্থে বলে অনেকে মনে করছেন। এই বিষয়ে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক মেঘনাদ পাল সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমরা একাধিক জায়গায় প্রার্থী দিতে পারিনি, সেটা ঠিক। তা বলে সুফিয়ানের সঙ্গে বিজেপি নেতার বৈঠক এবং নির্বাচনী বোঝাপড়ার গুঞ্জন সম্পূর্ণ অসত্য। তবে নিচুতলায় মানুষের জোট সমর্থন পাচ্ছে।’ এখন নির্দল কাঁটায় বিজেপি–তৃণমূল কংগ্রেস দুই দলই ভুগছে। সেখানে এমন গোপন বৈঠক নিয়ে নন্দীগ্রাম এলাকার মোড় থেকে চায়ের দোকান—সর্বত্র জোর আলোচনা শোনা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: তৃণমূল কর্মীর ছেলেকে খুন করার𒅌 অভিযোগ উঠল, ভাঙচুর–অগ্নিসংযোগ ঘটল দেগঙ্গায়
সত্যিই কি এমন গোপন বৈঠক হয়েছে? অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস ঠিক কী বলছে? এই গোপন বৈঠক অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং খোদ শেখ সুফিয়ান। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘স♑ুফিয়ানদা’র সঙ্গে আমার এই বিষয়ে কথা হয়নি। তবে এটা হতে পারে, বিজেপির কোনও নেতা তৃণমূলে আসতে চেয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন।’ আর শেখ সুফিয়ান এমন গুঞ্জনকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। টিকিট না পেলেও দলকে জেতানোর কাজ করব।’ আর নদিয়ার সভা থেকে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, ‘এই সরকারের ৮০ শতাংশ নেতা আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।’ কতটা সত্যি? জানতে চায় মানুষ।