বেলা বাড়তেই নির্বাচন কমিশনারকে ফোন করে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, কমিশনের দফতরে তালা ঝোলাতে যাচ্ছেন তিনি। ভোট শেষ হতেই নিজের নির্বাচনী এলাকা নন্দীগ্রাম থেকে বেরিয়ে কলকাতা পৌঁছলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তালা ঝোলালেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে।এদিন সন্ধ্যায় শুভেন্দুবাবু কলকাতায় কমিশনের দফতরে পৌঁছে সেখানে তালা ঝুলিয়ে দেন। এর পর তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার আদালতে আমারা অভিযোগ জানাব। প্রধান বিচারপতি যাদের ওপর দায়িত্ব দিয়েছিল সেই নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকার তারা আস্থা ভেঙেছে।সঙ্গে একগুচ্ছ দাবিদাবাও পেশ করেন তিনি। বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ ছিল, সিসিটিভি লাগিয়ে গোটা নির্বাচন হবে। কমিশনের সচিব নীলাঞ্জন শাণ্ডিল্য ৯৫ শতাংশ বুথে সিসিটিভভি লাগিয়েছি বলে হলফনামা দিয়েছিলেন। বাকি ৫ শতাংশ বুথে ভিডিয়োগ্রাফি হবে বলে জানিয়েছিলেন। সেই সব ফুটেজ খতিয়ে দেখে যেখানে যেখানে ছাপ্পা হয়েছে, সেখানে ভোট বাতিল করে সোম বা মঙ্গলবার ফের ভোটগ্রহণ করতে হবে। সেই সব বুথে ১ সেকশন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে হবে। দরকারে ভোটগণনা পিছিয়ে দিক কমিশন।শুভেন্দুবাবু বলেন, যে সব বুথে ভোট শুরুর আগে ব্যালটবাক্স সিল করার সময় বিজেপি প্রার্থীর এজেন্টরা ছিলেন, কিন্তু ভোট শেষের পর ব্যালট বাক্স সিল করার সময় তাদের দেখা যায়নি সেখানে ফের ভোটগ্রহণ করতে হবে। ধরে নেওয়া যেতে পারে যে সেখানে বিজেপি কর্মীদের মেরে বার করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যে সমস্ত ভোটকর্মীদের সিসিটিভি ফুটেজে ছাপ্পায় যুক্ত থাকতে দেখা গিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে FIR করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন তিনি।