পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটে গিয়েছে। শাসক–বিরোধীর বিস্তর অভিযোগ থাকলেও ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৫টি প্রাণ ঝরেছে। আগে সংখ্যাটা আরও বেশি থাকত। এবার তা অনেকটা কমেছে বলেই খবর। কিন্তু শাসক–বিরোধী দু’পক্ষের একটা বিষয়ে মিল খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। দু’পক্ষই রুষ্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে। এই আবহের মধ্যেই কেন্দ্রীꦅয় বাহিনীর গুলি লাগল এক ভোটারের শরীরে। চাকুলিয়ায় ভোটারের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবরে আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। আবার শনিবার🐟ের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাপড়া ও নাকাশিপাড়া ব্লকে বুথ কেন্দ্রে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়।
আজ, রবিবার সকাল থেকে উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে আহত ভোটারের ঘটনাই চর্চিত হচ্ছে। আর তাতেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনে শীতলকুচির স্মৃতি ফিরে এসেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন সাধারণ ভোটার থেকে শুরু করে শাসকদলের নেতাদের একটাই প্রশ্ন, কোথায় গেল কেন্দ্রীয় বাহিনী? আর বিরোধীদের অভিযোগ, ‘নিষ্ক্রিয়’ করে রাখা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। অথচ কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতেই চাকুলিয়া বিধানসভার অন্তর্গত গ𝓀োয়ালপুকুর থানা এলাকার এক যুবক ভোটার গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। একুশের বিধানসভার নির্বাচনে শীতলকুচির ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল বাংলা। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠল।
এদিকে চাপড়া থানার হাতিশালা–১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পাড়া ꦅও নাকাশিপাড়ার হরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে মালুমগাছায় গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে তাতে হতাহতের কোনও খবর নেই। আর চাকুলিয়ায় যে গুলি কেন্দ্রীয় বাহিনী চালিয়েছে তাতে এক যুবক মারাত্মক জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই যুবকের নাম মহম্মদ হাসিবুল। এই ঘটনা নিয়ে এখন তুমুল চাঞ্🐭চল্য ছড়িয়ে পড়েছে চাকুলিয়ায়। স্থানীয় মানুষজনের বক্তব্য, যাদের উপর দায়িত্ব দিল আদালত তাদের হাতেই তো ভোটাররা সুরক্ষিত নয়!
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে♎ লাশ পড়ল ১৫টি, বিকেল পর্যন্ত ভোটের হার ৬৬.২৮ শতাংশ
অন্যদিকে জেলা নির্বাচন দফতর সূত্রে খবর, শনিবার বিকেলে ভোট দিতে গিয়েছিলেন যুবক হাসিবুল। গোয়ালপোখর থানার অন্তর্গত ঢুমাগরের ২৫ নম্বর বুথে ভোট দিতে যান তিনি। তখন ওই বুথে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা নিরাপত্তার স্বার্থে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। আর সেই গুলিতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসিবুল আহত হন। 🅷সূত্রের খবর, হাসিবুলের কাঁধে গুলি লেগে মারাত্মক জখম করেছে তাঁকে। এই অবস্থায় যুবককে সেখান থেকে উদ্ধার করে প্রাথমিকভাবে কিশানগঞ্জ মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে বিহারের পূর্ণিয়াতে নিয়ে গিয়েছে চিকিৎসার জন্য।