পরপর দুটি ঘটনা। তারপর এবার ঘটল তৃতীয় ঘটনা। এই তিনটি ঘটনা এখন বাংলার রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। কিন্তু এই তিনটি ঘটনা কী? এক, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরই বিরোধী দলনেতার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। যা টুইট করে সন্ত্রাসের নেপথ্য নায়ক হিসাবে তাঁকে তুলে ধরেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। দুই, জেলার এক মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে গাছে বেঁধেছে বিজেপির কর্মীরা বলে অভিযোগ। এই দুটি ঘটনা নিয়ে রাজ্য–রা🔯জনীতি যখন উত্তাল তখন তৃতীয় ঘটনা ঘটে। সেটা হল— দলীয় কর্মীদের সন্ত্রাস না করার বার্তা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিকে রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারি করতেই হবে এবং তাছাড়া কোনও উপায় নেই। এই দাবি বহুদিন ধরেই বঙ্গ–বিজেপির নেতারা করে আসছেন। কিন্তু তার জন্যই কি পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই সন্ত্রাস করেছে বিজেপি? এক সংবাদমাধ্যমে ♒বিরোধী দলনেতার এমন মন্তব্য সম্প্রচারিত💙 হতেই সেই ভিডিয়ো টুইট করেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। তখনই তোলপাড় শুরু হয় রাজ্যজুড়ে। কারণ এই ভিডিয়ো রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা। আর তৃণমূল কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে, তার মানে পরিকল্পিতভাবে ভোট সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে?
অন্যদিকে যে ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে (হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা 🍸ডিজিটাল তা যাচাই করেনি) সেখানে নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘পথই পথ দেখাবে। এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যাতে ৩৫৫ লাগবেই। সেই পরিবেশ কীভাবে তৈরি করতে হয়, তা আমার জানা আছে।’ ওই ভিডিয়ো–তে আগ্রাসী মেজাজে বিরোধী দলনেতাকে আরও বলতে দেখা যাচ্ছে—‘৩৫৫ লাগবেই, এছাড়া পরিত্রাণ পশ্চিমবঙ্গের নেই। অনেক জিনিস করাতে হয়, কীভাবে করাতে হয়, তা আমি জানি’। তারপরই তৃণ👍মূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য ডেরেক ও ব্রায়েন টুইট করেছেন—‘এই ভিডিয়ো বার্তায় স্পষ্ট, ভোটে হিংসার নেপথ্যে তিনিই (বিরোধী দলনেতা)।’
আরও পড়ুন: ব🍨াংলার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ মাওবাদী নিকেশ সিআরপিএফের হাতে, জোরদার গুলির লড়াই
তৃতীয় ঘটনাটি ঠিক কী ঘটেছে? ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা কর্মীকে গাছে বেঁধে শাস্তি দিয়েছে বিজেপি জেলায়। এই খবরও চাউর হয়েছে। এবার এইসব ঘটনা চাউর হয়ে যাওয়ায় বিরোধী দলনেতা বিজেপির কর্মী–সমর্থকদের কড়া বার্তা দিয়েছেন। সং🧜বাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘ভোট পরবর্তী হিংসা বন্ধ করতে হবে। আমাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। তবে একটা জায়গায় আমাদের লোকজন যুক্ত ছিল। আমি বলে দিয়েছি এসব করতে দেব না। আমরা তৃণমূলের মতো অসভ্য, বর্বর পার্টি নই। এই কাজ যে করবে তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবো। মনিচকে যে মহিলাকে গাছে বেঁধে মারার কথা বলছে সেটা মিথ্যা কথা। আমাদের লোকরা এসব করে না। যে গ্রামে আমাদের লোকজন হিংসার কাজ করেছিল সেখানে বিজয় মিছিলও করতে বারণ করেছি। কোথাও আমাদের পক্ষ থেকে ভুল কা👍জ করা হবে না।’