অনিরুদ্ধ ধরগুজরাটে বড় ধাক্কা কংগ্রেসে। তবে হিমাচল প্রদেশে গেরুয়া শিবিরকে টেক্কা দিয়েছে কংগ্রেস। ৬৮টি আসনের মধ্য়ে অন্তত ৩২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। এদিকে সরকার গড়তে কৌশলী পদক্ষেপ নিচ্ছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা রাজীব শুক্লা জানিয়ে দিয়েছেন, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল ও আমি চন্ডীগড়ে যাব। সিমলা অথবা চন্ডীগড়ে বিধায়কদের নিয়ে আসার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।সংবাদ সংস্থা এএনআই শুক্লাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছেন, ভূপিন্দর সিং হুড়া ইতিমধ্যেই চন্ডীগড়ে রয়েছেন। ছত্তিশগড়ের মুখ্য়মন্ত্রী ও আমি চন্ডীগড়ে যাচ্ছি। সন্ধ্যার মধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে নেব বিধায়কদের হয় শিমলা বা চন্ডীগড়ে আসতে বলা হবে।শেষ আপডেট পাওয়া পর্যন্ত মোটামুটি ১৮টি আসনে এগিয়ে আছে বিজেপি। আটটি আসনে জয়ী হয়েছে।এদিকে মান্ডি জেলায় সুন্দরনগরে সিটিং বিধায়ক তথা বিজে নেতা রাকেশ জামওয়াল ৮.১২৫ ভোটে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে দিয়েছেন। বিজেপি নুরপুর আসনে ১৮.৭৫২ ভোটে জয়ী হয়েছে।এদিকে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রয়াত সুখরামের পুত্র অনিল শর্মা মান্ডি সদর আসনটি ধরে রাখতে পেরেছেন। কংগ্রেসের চম্পা ঠাকুরকে তিনি ১০,০০৬ ভোটে পরাজিত করেছেন। শিমলা শহর এলাকায় কংগ্রেসের হরিশ জনার্থ বিজেপির সঞ্জয় সুদকে ৩০০৭ ভোটে পরাজিত করেছেন।উল্লেখযোগ্য বিজেপি প্রার্থীদের মধ্যে মুখ্য়মন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর, মন্ত্রী বিক্রম সিং, স্পিকার বিপিন সিং পার্মার রয়েছেন এবার।কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা মুকেশ অগ্নিহোত্রী হারৌলি থেকে এগিয়ে রয়েছেন। প্রাক্তন কংগ্রেস রাজ্য সভাপতি কুলদীপ রাঠোর, প্রাক্তন মন্ত্রী সুধীর শর্মা, ধোনিরাম শান্ডি এগিয়ে রয়েছেন বিজেপির থেকে।এবার বিজেপির স্লোগান ছিল রাজ নেহি রেওয়াজ বদলেগা। বিজেপি স্লোগান তুলেছিল শুধু সরকার নয় এবার প্রথা বদলে যাবে হিমাচলে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এবার হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেস জয়ী হলে তা দলের কাছে কিছুটা হলেও আশা জাগাবে। একের পর এক হারের মধ্যে হিমাচল প্রদেশই কার্যত আশার আলো কংগ্রেসের কাছে। তবে আপাতত জয়ীদের নিজেদের ছাতার তলায় রেখে দেওয়াটাই কংগ্রেসের কাছে বড় চ্য়ালেঞ্জ।