সখ্য়তা অতীত। যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছ থেকে উত্তরীয় পরে তৃণমূলে ফিরেছিলেন অর্জুন সিং, সেই 💎নেতাই এখন বিজেপির প্রার্থী। স্বাভাবিকভাবেই অভিষেক নিশানা করলেন অর্জুনকে। অর্জুনের গড়ে দাঁড়িয়েই অর্জুন সিংকে নিশানা করে একের🐻 পর এক তোপ। এমনকী ভিজে বেড়াল বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। সেই সঙ্গেই কেন তাকে এর আগে তৃণমূলে নেওয়া হয়েছিল সেকথাও উল্লেখ করেন তিনি।
অভিষেক বলেন, 'আমরা অর্জুন সিংকে দলে নিয়েছিলাম। আপনারা প্রশ্ন করতেই পারেন। তাহলে আপনারা অর্জুন সিংকে দলে নিলেন কেন? আমরা এটা প্রমাণ করার জন্য দলে নিয়েছিলাম যে অর্জুন সিংয়ের গায়ে যদ🏅ি বিজেপির জার্সি আর এমপি পদটা না থাকে তাহলে অর্জুন সিং ভিজে বেড়াল। তৃণমূলে ছিল খাঁচা বন্দি হয়েছিল। আর কোনও জায়গায় কোনও অশান্তি করতে পারেনি। ২০২২-২৩ যে দুবছর তৃণমূলে ছিল কোনও জায়গায় কোনও দুর্ঘটনা, নৈরাজ্য, রাহাজানি, মস্তানি, করতে দিইনি। যেই বিজেপিতে গিয়েছিল ২০১৯ এর ভোটের প্রাক্কালে খুন, বোম্বিং চারদিকে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করেছিল। তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস, নির্দল এসব পরে হবে, আগে মানুষের জীবন, বেঁচে থাকার অধিকার, লড়াইয়ের সংগ্রাম। মানুষ𝄹 থাকলে সব হবে। '
তবে অভিষেকের এই কথার জবাব দিয়েছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। তিনি জানিয়েছেন, ‘আপনি জানেন না শের কে আছে। এদেরকে ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়ার একমাত্র আমি আছি মানুষের সমর্থনে। এরা পুলিশের 🐽ক্ষমতা নিয়ে রাজনীতি করে। আমি সেটা করি না। বিগত ২০১৯ সালে তিনি বলেছিলেন ২ লাখের থেকে এক ভোট বেশি হলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। অভিষেক ব্যানার্জি কি রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছেন? ’
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০২২ সালের এই মে মাসেই অর্জুন সিংকে একেবারে উত্তরীয় পরিয়ে দলে ফিরিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেদিন তাঁর পাশে ছিলেন পার্থ ভৌমিক। আর সেই পার্থ আজ লড়ছেন অর্জুনের বিরুদ্ধে। হয়তো বাস্তবিকই রাজনীতিতে অস🐠ম্ভব বলে কিছু হয় না। কিন্তু সেই সময় অর্জুন সিং কী বলেছিলেন?
উত্তরীয় পরিয়ে অর্জুন সিংকে দলে ফিরিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলে ফিরে অর্জুন সিং সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘কিছু ভুল বোঝাবুঝির জন্য বিজেপিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু বাংলাকে কেন্দ্রীয় সরকার বঞ্চিত করছে দেখে ফিরে এলাম। বাংলায় ফেসবুকের রাজনীতি করে কোনও ল𒅌াভ নেই। আমি অনেক চেষ্টা করেছিলাম বোঝাতে পাটশিল্পের অগ্রগতি করতে। কিন্তু তার মাত্র ২৫ শতাংশ হয়েছে। আরও কাজ করতে হবে। আমি দিল্লিতে গিয়ে সাংসদ পদ ত্যাগ করব। এখনও যাঁরা তৃণমূলের সাংসদ হয়েও বিজেপিতে আছেন তাঁদের উচিত ছেড়ে দেওয়া। আমিও তখন ছেড়ে দেব।’