সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে ইলেক্টোরাল বন্ডের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এসবিআই এই সংক্রান্ত তথ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে তুলে দিয়েছিল। তা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। আর এরপর থেকেই বন্ডের মাধ্যমে বিজেপির প্রাপ্ত অর্থ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিরোধীরা এটিকে 'আইনি তোলাবাজি' আখ্যা দিয়েছেন। তবে বিরোধীদের যাবতীয় অভিযোগ খণ্ডন করে পালটা তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ইন্ডিয়া টুডের কনক্লেভে শাহ দাবি করেন, 'ইলেক্টোরাল বন্ডের যাবতীয় তথ্য প্রকাশ হলে বিরোধীরা মুখ লুকোনোর জায়গা পাবে না।' এদিন অমিত শাহ বলেন, 'ইলেক্টোরাল বন্ড ভারতীয় রাজনীতি থেকে কালো ধন হটানোর লক্ষ্যে আনা হয়েছে। আমাকে কেউ এটা বলুক, ইলেক্টোরাল বন্ডের আগে কীভাবে রাজনৈতিক দলগুলি চাঁদা পেত? বন্ডে কীভাবে টাকা আসে? সংশ্লিষ্ট সংস্থা নিজের চেক ব্যাঙ্ককে দিয়ে একটি বন্ড কেনে এবং নিজের পছন্দের রাজনৈতিক দলকে দিয়ে থাকে। এখানে গোপনীয়তার প্রশ্ন উঠছে। আর যখন নগদে চাঁদা আসত, তখন কী হত? সেই সময় কারও নাম প্রকাশ্যে এসেছে?' (আরও পড়ুন: কর্মবিরতির꧙ ৫৫ দিনের বেতন দেওয়া হবে সরকারি কর্মীদের, রাজ্যে একলাফে ডিএ বেড়ে ২৩০%)
আরও পড়ুন: মোদীর গ্যারান্ট🐭ি নাকি রামমন্দির, কোন কারণে এগিয়ে নমো? লোকসভায় কটা আসন পাবে BJP?
এরপর বন্ড নিয়ে রাজনৈতিক আক্রমণেꦉর জবাবে শাহ বলেন, 'একটা ধারণা তৈরি করা হচ্ছে যে ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে ভারতীয় জনতা পার্টির অনেক লাভ হয়েছে। কারণ বিজেপি ক্ষমতায় আছে... রাহুল গান্ধী তো অভিযোগ করেছেন যে এটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্নীতির মাধ্যম এই ইলেক্টোরাল বন্ড। জানি না, কে রাহুল গান্ধীকে এই ধরনের কথা লিখে দেয় এবং তা তিনি বলেন।' এরপর অঙ্ক কষে শাহ বলেন, 'বিজেপি প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড পেয়েছে। সব মিলিয়ে ২০ হাজার কোটির বন্ড বিক্রি হয়েছে। তাহলে ১৪ হাজার কোটি টাকার বন্ড কোথায় গেল? তৃণমূল ১৬০০ কোটির বন্ড পেয়েছে, কংগ্রেস ১৪০০ কোটির বনড পেয়েছে, বিআরএস ১২০০ কোটির বন্ড পেয়েছে, বিজেডি ৭৭৫ কোটির বন্ড পেয়েছে আর ডিএমকে ৬৩৯ কোটির বন্ড পেয়েছে।'