লোকসভা নির্বাচ🐈নে বিজেপির বিজ্ঞাপন নিয়ে ফের একবার সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, শুক্রবার💜 বিভিন্ন সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় CAA সংক্রান্ত বিজেপির যে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে তার পুরোটাই ভুয়ো। মমতার দাবি, ওই বিজ্ঞাপনে বাংলাদেশ থেকে আসা কোনও শরণার্থীকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়নি। বরং নাগরিকত্বের আবেদন করলে তাঁকে বিদেশি বলে ঘোষণা করা হবে বলে ফের দাবি করেছেন মমতা।
আরও পড়ুন: লোডশেডিং করিয়ে রেজাল্ট পাল্টে দিয়েছিল, আমি আজ না হোক কাল এর বদলꩵা তো নেবই: মমতা
পড়তে থাকুন: হাইকোর্টে আরেকটা চড় খেল ম✱মতার পুলিশ, সন্দেশখালির BJP নেত্রী মাম্পি দাসকে পত্রপাঠ জামিন দিল আদালত
মোট ৩০০ জন শরণার্থীকে ভারতের নাগরিত্ব দেওয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় সরকারের পোর্টালে 🎶করা আবেদনের ভিত্তিতে একটি অনুষ্ঠানে প্রথম দফায় মোট ১৪ জনের হাতে নাগরিকত্বের নথি তুলে দে൲ওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। একথা জানিয়ে শুক্রবার রাজ্যের সমস্ত দৈনিক সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় বিজ্ঞাপন দেয় বিজেপি। তাতে ১৪ জনের ছবি ছাড়াও রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের একটি উক্তি। তাতে তিনি বলছেন, বিশ্বের কোনও শক্তি নেই যা আমাদের হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্শি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া থেকে রুখতে পারে।
শুক্রবার ঝাড়গ্রামের সভা থেকে খবরের কাগজের সেই বিজ্ঞাপনকে ভুয়ো বলে দাবি কর🌌েন মমতা। তিনি বলেন, 'এমন ভাবে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে যেন দেখে মনে হচ্ছে কেউ বিবৃতি দিচ্ছে। একটা লিফলেট করলেও প্রচারকের নাম দিতে হয়, প্রকাশকের নাম দিতে হয়। প্রকাশকে নাম নেই, প্রচারকের নাম নেই। কয়েকটা ছেলের বুকে ছবি, মোদীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে CAA করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছে। পুরোটাই মিথ্যা কথা, ভুয়ো। মতুয়া ভাইবোনেরা বিশ্বাস করবেন না, এটা একেবারে ভাঁওতা। সাজিয়ে তৈরি করা নাটক। সন্দেশখালির মতো তৈরি করা নাটক। যখনই CAAর জন্য আবেদন করবেন, আপানাদেরকে বিদেশি বলে বাতিল করে দেওয়া হবে। যাদের ছবি দিয়েছে, তার মধ্যে কিছু আফগান আছে। যাদের সঙ্গে বাংলার সম্পর্ক নেই'
বলে রাখি, সম্প্রতি প্রকাশকের ন๊াম ছাড়া বিজ্ঞাপন প্রকাশের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধেও। সম্প্রতি মাধবচন্দ্র পাল নামে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের বাসিন্দা এক মতুয়া গোঁসাই ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে বসে দাবি করেন, কয়েকদিন আগে তাঁর বাড়ি গিয়ে তাঁর একটি ছবি তোলেন এক যুবক। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ফোনে অনুরোধ করায় ছবি তুলতে দিতে আপত্তি করেননি তিনি। কয়েকদিন পরে তিনি একটি পোস্টার দেখতে পান, তাতে দেখা যাচ্ছে তিনি অসমের ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি। যদিও মাধববাবু জানান, তিনি জীবনে কোনও দিন অসমে যাননি। সেই পোস্টারেও কোনও প্রকাশকের কোনও নাম ছিল না বলে দাবি বিজেপির। বিজেপির দাবি, বে𓆉নামি ওই পোস্টার তৈরি করেছে IPAC.
আরও পড়ুন: যে যত ব্য💟ক্তি আক্রমণ করতে পারবে সে তত বড় তৃণমূল নেতা, কল্যাণকে কটাক্ষ মিঠুনের
সম্প্রতি সন্দেশখালির যে সব ভাইরাল ভিডিয়োকেౠ হাতিয়ার করেছে তৃণমূল, তারও দায় নেয়নি কেউ। যে ইউটিউটিব চ্যানে💖লে সেই সব ভিডিয়ো প্রকাশিত হয়েছে তা-ও দাবিদারহীন। অথচ সেই ভিডিয়োগুলির ভিত্তিতে একের পর এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ।