দেশের মুখ্য় নির্বাচন কমিশনারের আওতায় দুজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে এবার হলফনামা দাখিল করল কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টের কাছে এই হলফনামা দাখিল করা হয়েছে। কার্যত সাফাই দেওয়া হয়েছে এই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে। আসলে তাঁদের নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। চিফ ইলেকশন কমিশনার ও আদার ইলেকশন কমিশনারস অ্য়াক্ট ২০২৩ অনুসারে এই স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছিল। এদিকে কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, নতুন নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ নিয়ে কোথাও কোনও অভিযোগ হয়নি। তাঁদের যোগ্যতা নিয়েও কোথাও কোনও প্রশ্ন নেই। সূত্রের খবর, এক এনজিও এনিয়ে আবেদন করেছিল যে দেশের মুখ্য় নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে যে প্যানেল ছিল তাতে দেশের প্রধান বিচারপতি ছিলেন না। আসলে সুখবীর সিং সান্ধু ও জ্ঞানেশ কুমারকে নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। তারপরই এনিয়ে আদালতে মামলা করে ওই এনজিও। এদিকে নতুন আইন অনুসারে যে প্যানেলের মাধ্য়মে তাঁদের নিয়োর হয়েছে তার মাথায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিকে সিইসি নয়া অ্যাক্ট অনুসারে দেশের প্রধান বিচারপতিকে ওই প্যানেল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। গত বছর একটা সাংবিধানিক বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়েছিল একটি কমিটি করা হবে। যেখানে প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতা থাকবেন। তাঁরাই নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করবেন। পরে সরকার নয়া সিইসি অ্যাক্ট চালু করে। সেখানে বলা হয় দেশের প্রধান বিচারপতিকে ছাড়াই এই কমিটি থাকতে পারে। তবে সরকার জানিয়েছে, এই স্তরে থাকা আধিকারিকরা ঠিকঠাক কাজ করবেন এটা ধরে নেওয়া যায়। এই সিএইসি অ্য়াক্টের বিরুদ্ধে সম্প্রতি পিটিশন ফাইল করেছিল ADR।