মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের শাক্তিপুরে রাম নবমীর মিছিলে হামলায় সরাসরি যুক্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চাঞ্চল্যকর এই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার খেজুরিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি ওই ঘটনায়🐻 NIA তদন্তের দাবি করেন।
শুভেন্দুর আক্রমণ
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘মুর্শিদাবাদে রাম নবমীর মিছিলে আক্রমণের সময় বোমা ছোড়া হয়েছে। অনুমতি থাকা সত্বেও সংগঠিতভাবে হামলা হয়েছে। শুনলে অবাক হয়ে যাবেন শক্ত🐷িপুরে যে বাড়ি থেকে পাথর ছোড়া হয়েছে সেটা সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়ি। সিভিক ভলান্টিয়ার কর্মীবর্গ দফতরের বেতন পায় সরাসরি পুলিশমন্ত্রী এর সঙ্গে যুক্ত। NIA তদন্ত হওয়া উচিত। তদন্তের আওতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আনা উচিত’।
আরও পড়ুন: নিজের ভোটটা ঘাসফুলে কেমন করে দেবেন?ꦿ জনগণকে টিপস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
পড়তে থাকুন: ভাঙড়ে শওকত মোলার নামে পড়ল পোস্টার,💎 উঠল তৃণমূ🤡ল বিধায়ককে গ্রেফতারের দাবি
গত ১৭ এপ্রিল মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর থানা এলাকায় রাম নবমীর মিছ൩িল লক্ষ্য করে পাথর ও বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা ২ পক্ষের সংঘর্ষে মোট ১৯ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশকর্মীরাও। স্থানীয়দের দাবি, ঘটনার আগের দিন শক্তিপুরে গাজনের মেলাতেও হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা।
মমতার অভিযোগ
এই ঘটনার জন্য বিজেপিকে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ছোট একটা ঘটনা ঘটিয়েছিল। আমি জায়গাটার নাম বললাম না। কালকে আবার ঘটিয়েছিল। ওসি আহত। আমার একজন ভাই আহত। পুলিশ দুজন আহত হয়েছে। কেন অস্ত্র নিয়ে মিছিল করবেন আপনারা? কে আপনাদের অধিকার দিয়েছে⛎? অস্ত্র নিয়ে মিছিল করার ꦓঅধিকার কে দিয়েছে? মণিপুরে চার্চ পুড়িয়ে দেওয়ার অধিকার কে দিয়েছে? মসজিদে গিয়ে বোমা মারার অধিকার কে দিয়েছে? কে অধিকার দিয়েছে দলিতদের উপর অত্যাচার করবার। কে অধিকার দিয়েছে সংখ্য়ালঘু দেখলেই এনআইএ ঢুকে পড়বার? ’
আরও পড়ুন: ফল ঘোষণার আগেই ভোটের রাতে তৃণমূলের বিজয় মি🤡ছিল!উত্তরের ৩ কেন্দ্রে উচ্ছ্বাস, চলল স্লোগান-বাজনা
পড়তে থাকুন: মুর্শিদাবাদের দুই ওসিকে সাসপেন্ড করল কমিশন, বড় শাস্তি!🎉 পাঠানো হল হেডকোয়ার্টারে
পালটা আক্রমণ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, 'পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিভিন্ন স্থানে বুধবার ব্যাহত হয় রামনবমীর একাধিক শোভায🦂াত্রা। এই সব মিছিলে আক্রমণ করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর উস্কানিমূলক বক্তৃতার কারণেই দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালায়। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যেই আশ্বস্ত হয়েছিল যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে না। রামনবমী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থান হল - এটি একটি দাঙ্গার দিন।'