ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তদারকিতে তদন্তের দাবি তুলে সরব হল কংগ্রেস। শতাব্দী প্রাচীন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে অভিযোগ করেছেন, বন্ডের মাধ্যমে দুর্নীতি করেছে বিজেপি। এই আবহে পদ্ম শিবিরের অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করার দাবি তুলেছেন খাড়গে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি যে সব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে সর্বোচ্চ রাজনৈতিক অনুদান করা ৫টি সংস্থার তিনটিতেই কোনও না কোনও সময় হানা দিয়েছিল ইডি বা আয়কর দফতর। এই আবহে কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ অজয় মাকেন দাবি করেছেন, নির্বাচনী বন্ডে অনুদান এবং ইডি-আইটি হানার যোগসূত্র নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। এদিকে এসবিআই এখনও ৩৩৪৬টি বন্ডের তথ্য প্রকাশ করেনি বলেও দাবি করেন মাকেন। এদিকে বিজেপিকে তোপ দেগে সোশ্যাল মিডিয়ায় খাড়গে পোস্ট করেন, 'প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন, না খাব, না খেতে দেব। তবে মনে হয়, তাঁর কথার আসল অর্থ ছিল, শুধুমাত্র বিজেপিকেই খেতে দেব।' (আরও পড়ুন: সন্দেশখালি, দুর্নীতি… তাও লোকসভা ভ⛄োটে 🅰বাংলায় এগিয়ে থাকবে তৃণমূল, দাবি সমীক্ষায়)
আরও পড়ুন: ৩০৩ সাংসদরা পেয়েছে ৬ဣ০০০ কোটি, বাকি ২৪২-এর পকেটে ১৪০০০ কোটি, 'বন্ড অঙ্ক' শাহের
সম্প্রতি ইলেক্টোরাল বন্ডকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এরপর এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করার জন্য এসবিআই-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যদিও তারপরে তথ্য প্রকাশের জন্য এসবিআই সময় চেয়েছিল। দাবি জানানো হয়েছিল, যেন বন্ড সংক্রান্ত তথ্য জমা দিতে যাতে তাঁদের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। এরপর থেকেই সুর চড়াতে শুরু করেন বিরোধীরা। অভিযোগ ওঠে, বিজেপিকে আড়াল করতেই এসবিআই বন্ড তথ্য প্রকাশে অনীহা প্রকাশ করছে। পরে অবশ্য সুপ্রিম কোর্ট কড়া ভাষায় এসবিআই-কে জানিয়ে দেয় অবিলম্বে বন্ডের তথ্য প্রকাশ করতে হবে। সেই তথ্য প্রকাশ তো হয়েছে। তবে তাতে বন্ডের নম্বর উল্লেখ করা নেই। এই আবহে কোন সংস্থা কোন দলকে কত টাকা দিয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট ফের একবার এসবিআই-কে বন্ডের নম্বর সহ যাবতীয় তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে। সঙ্গে নোটিশও জারি করা হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ সরকারি ব্যাঙ্ককে। (আরও পড়ুন: মোদীর গ🅷্যারান্টি নাকি রামমন্দির, কোন🧸 কারণে এগিয়ে নমো? লোকসভায় কটা আসন পাবে BJP?)
আরও পড়ুন: কর্মবিরতি🅘র ৫৫ দিনের বেতন দেওয়া হবে সরকারি কর্মীদের, রাজ্যে একলাফে ডিএ বেড়ে ২৩০%
উল্লেখ্য, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে সর্বোচ্চ রাজনৈতিক অনুদান করেছে ফিউচার গেমিং নামক সংস্থা। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ থেকে ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ১৩৬৮ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে। এই সংস্থার মালিক সান্তিয়াগো মার্টিন। দক্ষিণ ভারতের এই ব্যবসায়ীকে 'লটারিং কিং' না🍌মে ডাকা হয়। তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি এবং সিবিআই। ২০১৯ সাল থেকে অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইনের অধীনে সান্তিয়াগোর সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। ২০২৩ সালের মে মাসে তাদের কোয়েম্বাটোর এবং চেন্নাইয়ে ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেডের অফিসে হানা দিয়েছিল ইডি। এর আগে কেরল ও সিকিম সরকারের লটারির টিকিট বিক্রিতে কারচুপির অভিযোগে সংস্থাটির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল সিবিআই।
আরও পড়ুন: মলদ্বীপের মাটিতে চিনা সামরিক বাহিনীর পা পড়তেই পদক্ষেপ ভারতের,𝄹 জানাল 😼MEA
এদিকে অনুদান দেওয়ার তালিকায় দ্বিতীয় ꦉস্থানে আছে মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। রিপোর্ট অনুযায়ী, মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অফিসে ২০১৯ সালের অক্টোবরে হানা দিয়েছিলꦿ ইডি। তারা ৯৬৬ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড রাজনৈতিক দলকে দিয়েছে। এদিকে তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছে বাংলার সংস্থা হলদিয়া এনার্জি লিমিটেড। সংস্থার ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এটি আরপি-সঞ্জীব গোয়েঙ্কা গোষ্ঠীর অধীনস্থ একটি সংস্থা। বিগত ৫ বছরে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তারা ৩৯৫ কোটি টাকার রাজনৈতিক অনুদান দিয়েছে। হলদিয়া এনার্জির অফিসে ২০২০ সালের মার্চ মাসে হানা দিয়েছিল সিবিআই। এদিকে ২০২২ সালের অগস্ট মাসে বেদান্তের অফিসে হানা দিয়েছিল ইডি। অনিল আগরওয়ালের বেদান্ত লিমিটেড অনুদানের তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছে। তাদের নির্বাচন বন্ড অনুদানের পরিমাণ ৩৮৬ কোটি টাকা।