চোখে জল নিয়ে ভোট দিলেন মৃত নন্দীগ্রামে মৃত বিজেপি কর্মী রথিবালা আড়ির মেয়ে সঞ্জু। শনিবার সকালে নন্দীগ্রামে♍র গড়চক্রবেড়িয়ার মনসাবাজার এলাকার বুথে ভোট দেন তিনি। বেরিয়ে বলেন, ‘ইভিএমেই মা🍸য়ের মৃত্যুর জবাব দিলাম।’
বুধবার দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন বিজেপি কর্মী রথিবালা আড়ি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় নন্দীগ্রামে। দোষারোপ, পাল্টা দোষার🤡োপের পালা চলে বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে। এই ঘটনার দু’দিন পর আজ ষষ্ঠ দফার ভোট চলছে। বুকে মাতৃহারা হওয়ার কষ্ট, চোখের জলﷺ ধরে রেখে শনিবার ভোট দেন রথিবালার মেয়ে সঞ্জু। একে একে পরিবারের অন্যান্যরাও ভোট দেন।
আরও পড়ুন। ঝাড়গ্রামে BJP প𝓀্রার্থীকে ইটবৃষ্টি, রোহিঙ্গারা হামলা করেছে বললেন প্রণꦡত টুডু
ভোট দিয়ে বেরিয়ে এসে, চোখের জ𝔉ল মুছে তিনি ধরা ܫগলায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইভিএমেই মায়ের মৃত্যুর জবাব দিলাম। সমস্ত পরিবার ভেঙে পড়েছে। বাড়িতে দুই দাদা, বউদি আছে। বড়দা কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি। আমি ভোট দিয়ে গেলাম। এর পর একে একে পরিবারের সবাই ভোট দেবেন।’
গড়চক্রবেড়িয়ার মন𓂃সাবাজার এলাকার বুথে তাঁকে দেখতে পেয়ে সকলে লাইন ছেড়ে দেন। চোখে জল নিয়েই তিনি ভোট দিতে ঢোকেন।
আরও পড়ুন। গৃহবধূর স্তনে জলের বোতল রাখার অ♓ভিযোগ, ড൩েবরায় শ্লীলতাহানিকাণ্ডে নাম জড়াল জওয়ানের
ষষ্ঠ দফার ভোট প্রচারের একেবারে শেষলগ্নে এই মৃত্যু ঘটনা ঘটে নন্দীগ্রামে। বুধবার সোনাচূড়ার 🗹মনসাপুকুর বাজার এলাকায় রাতে বুথ পাহারা দিচ্ছিলেন বিজেপির কয়েকজন কর্মী। রাত দু’টো নাগাদ সশস্ত্র বাইক বাহিনী বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ধারালো অস্ত্রের এলোপাথাড়ি কোপে রথিবালা আড়ি রক্তাক্ত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। মাকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হন ছেলেও। হাসপাতালে নিয়ে গেলে রথিবালাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এই 💎ঘটনায় আহত হন আরও ৭জন।
এর প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বিজেপি। গাছ ফেলে রাস্তা অবরোধ করা হয়। প্রতিবাদ🃏ের নন্দীগ্রাম বনধেরও ডাক দেয় বিজেপি। কিন্তু পরে বনধ প্রত্যাহারও করে নেওয়া হয়। বিজেপি থেকে অভিযোগ করা হয়, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলাতেই খুন হয়েছেন রথিবালা। অন্য দিকে তৃণমূলের দাবি, বিজেপি গোষ্ঠাদ্বন্দ্বে খুন হয়েছেন মহিল𝔉া।