সম্প্রতি রাজ্য পুলিশের ডিজি বদল হয়েছে পরপর দু'দিন। আর এবারে বাংলার চার জেলার জেলাশাসকদের অপসারণ করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। রিপোর্ট অনুযায়ী, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান এবং বীরভূমের জেলাশাসকদের বদলির নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও দেশ জুড়ে আরও একাধিক জায়গার এসপি এবং ডিএম-দের বদলি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, গুজরাটের ছোটা উদয়পুর এবং আমেদাবাদ গ্রামীণের এসপি-দের বদলি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বীরভূমের জেলাশাসক ছিলেন পূর্ণেন্দু মাজি। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক পদে ছিলেন বিধান রায়। ঝাড়গ্রামের ডিএম ছিলেন সুনীল আগরওয়াল এবং পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পদে ছিলেন তনভির আফজল। এই চারজনকেই বদলি করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: অসাম🔯্যের নয়া রেকর্ডে ভারতে, শীর্ষ ১ শতাংশের হাতেই দেশের ৪০% ধন, দাবি রিপোর্টে)
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বি♐রুদ্ধে পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের,🌺 ভিনরাজ্যে দায়ের ৪টি FIR
এছাড়া পঞ্জাবের পাঠানকোট, জলন্ধর গ্রামীণ এবং মালেরকোটলা জেলার এসএসপি-দের বদলি করা হয়েছে। তাছাড়া ওড়িশার ধেঙ্কানালের জেলাশাসক, দেওগড়ের এবং কটক গ্রামীণের এসপি-দেরও বদলি করা হয়েছে। ওদিকে পঞ্জাবে𒆙র ভাটিন্ডার এসএসপি, অসমের সোনিতপুরের এসপিকেও বদলি করা হয়েছে সেখানকার স্থানীয় জনপ্রতিধিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জন্য। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, জাতীয় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজীব কুমারের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এবং সুখবীর সিং সান্ধুর বৈঠকের পরই এই সিদ্ধা🅺ন্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আর ২-১০ টাকা কমানো হবে না, কিছুদিন পর এই 🐽রাজ্যে ৭৫ টাকা করা হবে পেট্রোলের দাম!
এর আগে গত ১৮ মার্চ রাজীব কুমারকে সরিয়ে রাজ্যের ডিজিপি করা হয়েছিল বিবেক সহাꩵয়কে। পরদিন, ১৯ মার্চেই তাঁকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। বদলে বাংলার নয়া ডিজিপি হন আইপিএস সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সকারের থেকে রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল পদের জন্য তিনজনের নাম চেয়ে পাঠানো হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে। সেই তালিকায় ছিল বিবেক সহায়ের নাম। সেই মতো বিবেককে ডিজিপি করার অনুমতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। পরে রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিককে ফের একটি চিঠি দিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজীব কুমার জানান🍬, বাংলার ডিজিপি পদে সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে বসাতে পারে রাজ্য।
আরও পড়ুন: অফসাইটে ৭-৮% বেতন ꦗবাড়াবে ভারতের এই আইটি সংস্থা, কপাল পুড়বেꦚ অনসাইট কর্মীদের
পশ্চিমবঙ্গের নয়া ডিজিপি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় ১৯৮৯ ব্যাচের আইপিএস অফিসার। এদিকে বিবেক সহায় নিজে ১৯৮৮ সালের ব্যাচের আইপিএস অফিসার ছিলেন। কিন্তু কেন এক ব্যাচ সিনিয়র অফিসারকে সরিয়ে একদিনের মাথায় সঞ্জয়বাবুকে দায়িত্ব দেওয়া হল? জানা গিয়েছে, বিবেক সহায়কে সিরিয়রিটির ভিত্তিতে ডিজিপি করা হয়েছিল। এর আগে হোমগার্ডের কমান্ডান্ট জেনারেল পদে থেকেছেন বিবেক। ২০২৩ সালের ১ নভেম্বরে সেই পদে আসীন হয়েছিলেন তিনি। এদিকে মে মাসে বিবেক সহায় অবসরগ্রহণ করবেন। তবে ভোট প্রক্রিয়া মিটবে সেই জুন মাসে। এই আবহে কমিশন চাইছে, ভোটের পুরো 🧸সময় একজনই ডিজিপি পদে থাকুক। যদি না তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের কোনও অভিযোগ ওঠে। এই আবহে রাজ্যের প্রস্তাবিত আইপিএস-দের তালিকায় দ্বিতীয়তে থাকা সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে ডিজিপি করার পক্ষে সায় দেয় নির্বাচন কমিশন।