𒆙 ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যত নির্ভর করছে লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে তাঁর দল কেমন ফল করছে তার উপর। বুধবার জঙ্গিপুরের রঘুনাথগঞ্জের জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই মন্তব্য করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ꦅতিনি বলেন, ৪ জুনের ফলাফল দেখে বিজেপি আবাক হবে। দিল্লিতে একটি ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গঠিত হবে। অভিষেকের কথায়, ‘পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস ফল কেমন করে তার উপর জোটের ভবিষ্যৎ অনেকাংশে নির্ভর করছে। ৪ জুন লোকসভা ভোটের ফল দেখে বিজেপি অবাক হবে দিল্লিতে একটি গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।’
🍨কংগ্রেস ও সিপিএমের তীব্র সমালোচনা করে ডায়মন্ড হারবারের বিদায়ী সাংসদ দাবি করেন, ‘রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধী যখন বিরোধী জোট গঠনের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থন চাইছিলেন, তখন দলের রাজ্য নেতারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গালিগালাজ করছেন।’
আরও পড়ুন। 🌸‘এক বছর, এক প্রধানমন্ত্রী ফর্মুলা বানাচ্ছে ইন্ডিয়া জোট’, আশঙ্কা প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
﷽তিনি বলেন, ‘আমার স্পষ্ট মনে আছে, মুম্বইয়ে যখন সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী ইন্ডিয়া জোটকে শক্তিশালী করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থন চাইছিলেন, তখন পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং সিপিএমের মহম্মদ সেলিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলকে নিশানা করছিলেন। এতেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে কংগ্রেস এবং সিপিএম উভয়ই রাজ্যে বিজেপির হাত শক্তিশালী করার জন্য একসঙ্গে কাজ করছে।’
꧃তিনি আরও বলেন, ‘যে সব রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলি যথেষ্ট শক্তিশালী, সেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে আসন সমঝোতা করতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু প্রতি মুহূর্তে তৃণমূলকে গালি দিচ্ছেন অধীর চৌধুরী। মানুষ চিহ্নিত হয়ে গেছে কে আসল বিশ্বাসঘাতক।’
🍌তিনি আরও বলেন, ‘যে সব রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলি যথেষ্ট শক্তিশালী, সেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে আসন সমঝোতা করতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু প্রতি মুহূর্তে তৃণমূলকে গালি দিচ্ছেন অধীর চৌধুরী। মানুষের কাছে চিহ্নিত হয়ে গেছে কে আসল বিশ্বাসঘাতক।’
লোকসভা ভোটের সব খবর পড়ুন এখানে
💙মূল্যবৃদ্ধি, সিএএ বা এনআরসির মতো ইস্যুতে আওয়াজ না তোলা এবং বিজেপির 'বি-টিম' হিসেবে কাজ করার জন্য কংগ্রেস ও সিপিএমকে অভিযুক্ত করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
﷽তিনি বক্তব্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আর্থিক অনুদান দেয়, যা মহিলাদের সংসার চালাতে সাহায্য করে। এটা কী সত্যি নয়? কিন্তু কংগ্রেস বা সিপিএম কি কখনও মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে কথা বলেছে? এটা স্পষ্ট যে তারা বিজেপির বি-টিম হিসাবে কাজ করছে। সিএএ (নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন) বা এনআরসির (জাতীয় নাগরিক পঞ্জি) বিরুদ্ধেও একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি তারা। বিজেপিকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য কাকে ভোট দেবেন তা জনগণই ঠিক করবে।’