একদিকে তৃণমূল প্রার্থীর নাম কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অন্যদিকে নির্দল প্রার্থী হলেন কাকলি ঘোষ। বারাসত কꦓেন্দ্রে দুই প্রার্থীর একই নাম প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। আর নির্দল প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরেই হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া নিয়ে আরও চাঞ্চল্য ছড়ায়। সেই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ তুলেছিলেন নির্দল প্রার্থীর অনুগামীরা। কিন্তু, ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই নিজেই ফিরে আসলেন নির্দল প্রার্থী। তিনি শুধু ফিরেই আসলেন না মনোনয়নও প্রত্যাহার করে নিলেন। আর তিনি দাবি করেছেন, তাঁকে অপহরণ করা হয়নি। স্বেচ্ছায় তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বারাসতের রাজনীতিতে এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল হৈচৈ পড়ে গিয়েছে। এমন ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন সামনে আসছে। কারও চাপে কি তিনি মনোনয়ন তুলে নিলেন? তাই নিয়ে জোরচর্চা শুরু হয়েছে রাজনীতিতে।
আরও পড়ুন: একই কেন্দ্👍রে বিজেপির ২ প্রার্থীর মনোনয়ন, বারাসতে প্রকাশ্যে দলের গোষ্ঠীকোন্দল
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। এদিন জেলাশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে ম𝓰নোনয়ন জমা দেন নির্দল প্রার্থী কাকলি ঘোষ। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর তিনি সোজা হাবড়ায় বাবার বাড়ি চলে যান। কিন্তু, অভিযোগ মঙ্গলবার রাতেই ১০ থেকে ১৫ জনের দুষ্কৃতীদের একটি দল তাঁকে এবং তা𝔉ঁর স্বামী সঞ্জীব ঘোষকে বাইকে করে তুলে নিয়ে যায়। তারপর দু'জনের মোবাইল ফোন সুইচ-অফ করে দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় কাকলির প্রস্তাবক দিলীপ দাস এবং অনুগামীরা হাবড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা নির্দল প্রার্থীকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। ꧋কারণ নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর পর তাঁকে লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল💎। এখানকার তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার নির্দল প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। যদিও সেই অভিযোগ প্রথম থেকে অস্বীকার আসছিল তৃণমূল কংগ্রেস।