হাতে আর তিন দিন। তারপরই বাংলায় সপ্তম দফার ভোটগ্র﷽হণ–পর্ব শুরু হবে। আর এই লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোটের আগে বাংলাকে নিয়ে বড় ভবিষ্যদ্বাণী করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ এখন গোটা দেশে বিজেপি বিরোধী হাওয়া বইছে বলে নানা সমীক্ষায় উঠে আসছে। সেখানে বাংলার কোনও নির্বাচনে বিজেপি জিততে পারেনি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসন পেয়েছিল। তারপর সেটা এখন ধরে রাখাই যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের বলে মনে করা হচ্ছে। সেখানে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে বিজেপি বিরাট সাফল্য পাবে বলে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
২০১৯ সালের লোকসভা আসনে ১৮টি আসন পেলেও তা পরে কমে ১৬ হয়েছিল। একুশের নির্বাচনে বিজেপির বিজয়রথ থামিয়ে দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে বাংলায় একটাও নির্বাচন জিততে পারেনি বিজেপি। এমনকী উপনির্বাচনও জেতেনি। সেখানে আজ, মঙ্গলবার সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে বাংলায় ত🔯ৃণমূল কংগ্রেস অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই চালাচ্ছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মানুষ আমাদের ৩ থেকে ৮০ আসনে পৌঁছে দিয়েছেন। এবারও গোটা দেশের মধ্যে বিজেপির সবথেকে বেশি সাফল্য আসবে পশ্চিমবঙ্গ থেকেই।’
আরও পড়ুন: ষষ্ঠ দফার নির্বাচন পর্যন্ত তৃ⛦ণমূলের আসন সংখ্যা কত? আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানালেন অভিষেক
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই দাবি করলেও বিরোধীরা ত❀া মানতে নারাজ। অর্থাৎ বিজেপি এখানে সাফল্য পাবে এই কথা মেনে নিতে নারাজ বাম–কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেস তো এই দাবি ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছে। এই আত্মবিশ্বাসী দাবির পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাম–কংগ্রেস নেতৃত্বও খোঁচা দিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসে নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘একুশের বিধানসভা নির্বাচনে আপকি বার ২০০ পারের সময়েও তাঁরা এই ধরনের নানা দাবি করেছিলেন। তাঁরা মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। কেন্দ্রে বিজেপির সরকার আর ফিরবে না।’♐