এন্টালি থেকে পদযাত্রা করে বালিগঞ্জ ফাঁড়িতে এসে তা শেষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫০ মিনিটের বেশি সময় ধরে হাঁটলেন মুখ্যমন্ত্রী। এখান থেকেই তিনি সোজা চলে যান বেহালায় জনসভা করতে। প্রথমে দমদম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সৌগত রায়ের সমর্থনে পদযাত্রা করেন তৃণমূলনেত্রী। তারপর কলকাতার দুই কেন্দ্রের প্রার্থীদের সমর্থনে হাঁটেন দলনেত্রী। লোকসভা নির্বাচন এখন শেষ পর্য়ায়ে। আগামী শনিবার সপ্তম দফার ভোট। কলকাতা–সহ দুই ২৪ পরগনায় ত💞া হবে। উত্তর ২৪ পরগনার দমদম কেন্দ্রে এবারও তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সৌগত রায়। তাঁর সমর্থনে দমদমের বিরাটি বণিক ম🧸োড় থেকে এয়ারপোর্টের ২ নম্বর গেট পর্যন্ত পদযাত্রা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই পদযাত্রার দু’ধারে অগণিত সাধারণ মানুষ আওয়াজ তুললেন, ‘দিদি আমরা তোমার সাথে আছি।’
এদিকে তাঁর আজকের পদযাত্রায় সঙ্গে ছিলেন ওই কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কলকাতা দক্ষিণের প্রার্থী মালা রায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে রাস্তার দু’পাশে ভিড় করেন উৎসাহী জনতা। দলীয় কর্মী–সমর্থকেরা স্লোগান দিতে থাকেন। আর রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকা উৎসুক জনতার দিকে হাত নাড়তে নাড়তে এগিয়ে যান তৃণমূলনেত্রী। রাস্তার দু’পাশে ভিড় করা কর্মীদের উল্লাসের ছবি ধরা পড়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন সকলের উদ্দেশে করজোড়ে প্রণাম করতে থাকেন। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে সেলফি তোলার হিড়🐷িকও দেখা গেল মানুষজনের মধ্যে।🐼 অনেকেই এগিয়ে এসে তৃণমূলনেত্রীর হাতে পুষ্পস্তবক দেন। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু, ব্রাত্য বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং ব্যারাকপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী পার্থ ভৌমিকও।
আরও পড়ুন: ‘শাহজাহানদের বিরুদ্ধে প্রতিবা🧸দ করলেই চুপ করিয়েছে তৃণমূল’, মোদীর নিশানায় উষারানি
অন্যদিকে মিছিল যত এগোতে থাকে, ভিড়ও ততই বাড়তে থাকে। ভিড় থেকে এক মহিলা দড়ির ব্যারিকেড টপকে চলে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণামও করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ত🧔ুলে বুকে জড়িয়ে নেন। বাড়ির ব্যালকনি থেকে এক বৃদ্ধা বলেন, ‘মমতা তুমি ভাল থেকো।’ তখন তৃণমূল সুপ্রিমো তাঁর দিকে হাতজোড় করে প্রণাম জানান। এরপর মিছিল এগিয়ে চলে দক্ষিণ কলকাতার বুক চিড়ে। চেনা ছন্দেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করে হেঁটে চলেন। এমন অবস্থায় কয়েকজন যুবতীও ‘দিদি দিদি’ বলে আওয়াজ তোলেন। ভিড় থেকেই চোখ চলে যায় সে𓆉খানে দিদির। তাঁদের দেখেও হাত নাড়েন তিনি।