লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। সেক্ষেত্রে তারা সংখ্যালঘু হযে পড়েছে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে। কিন্তু শরিকদের সহায়তায় তৈরি হচ্ছে এনডিএ সরকার। এখন আর এটা বিজেপি বা মোদী সরকার বলা যাবে না। সারা দেশেই ফল খারাপ হয়েছে বিজেপির। আর বাংলায় তো দাঁড়াতেই পারেনি বিজেপি। ৪২টি আসনের মধ্যে ১২টি আসন পেয়েছে। ২৯টি আসন পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই আবহে আজ, রবিবার সন্ধ্যায় শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। আর তার মধ্যেই কেন্দ্রীয় হেরে যাওয়া মন্ত্রীদের উদ্দেশে খোঁচা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ﷽যা নিয়ে জোর চর্চা চলছে।
এবার ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বহু হেভিওয়েট প্রার্থী হেরে গিয়েছে। বাংলা থেকে দু’জন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হেরে গিয়েছেন। আর প্রায় ১৩ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হেরে গিয়েছেন। এই বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘ভগবান হারিয়ে দিয়েছে। ওদের ভালো হোক।’ আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় বিদায়ী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি এবং এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান বিনোদ সোনকার। দু’জনের বিরুদ্ধেই নয়াদিল্লিতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের হেনস্তা করার অভিযোগ রয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে তৃণমূল কং༺গ্রেসের কৃষিভবন যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রীর খোঁচা, ‘অভিষেকদের চুলের মুঠি ধরে তাড়িয়েছিল, এবার ভগবান হারিয়েছে। ওঁদের ভাল হোক।’
আরও পড়ুন: আজ শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী, শহরে বাতিল বিজেপি🏅র অনুষ্ঠানের নানা পরিকল্পনা
বাংলার মানুষের ১০০ দিনের কাজের টাকা বকেয়া রেখে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। সেই বকেয়া আদায় করতে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল গিয়েছিল নয়াদিল্লির কৃষি ভবনে। সেখানে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করে আটকে রাখা টাকা আদায় করতে গিয়েছিলেন।▨ কিন্তু তাঁদের সময় দেওয়ার পরও দেখা করেননি মন্ত্রী। উলটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা তাঁর ঘরের সামনে গেলে নিরাপত্তারক্ষী দꦏিয়ে বের করে দেওয়া হয়। মহিলা সাংসদ মহুয়া মৈত্র, প্রতিমা মণ্ডলদের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করা হয়েছে। মহুয়াকে রীতিমতো টানাহ্যাঁচড়া করা হয়।