লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, বিজেপি ১২টি আসন জিতেছে বাংলায়। আর তৃণমূল কংগ্রেস ২৯টি আসন। কংগ্রেস পেয়েছে ১টি আসন। সিপিএম শূন্যতার সঙ্গে জামানত জব্দের সাক্ষী থাকল। এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জুটি ছিল শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদার। তাঁদের প্রচেষ্টায় এমন ফল হয়েছে। তবে এবার দলের সংগঠন শুয়ে পড়েছিল বলে আগেই মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। বহু বুথে এজেন্ট খুঁজতে হয়েছিল বলেও স্বীকার করেন তিনি। এই আবহে কোন কোন লোকসভা কেন্দ্রে দলের আদি নেতা–কর্মীরা মাঠে নামেননি এবার সেটার তালিকা দিয়ে দিলেন বিজেপি নেতা অনুপম হ꧙াজরা।
বিজেপির এই ভরাডুবির পিছনে সাংগঠনিক দুর্বলতা আছে বলে অনেক নেতাই মনে করেন। সেখানে সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনুপম হাজরা বলেন, ‘আট মাস আগে য෴েসব কথা বলেছিলাম, সেগুলি আজ অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাচ্ছে। ৬টি কেন্দ্রের নাম বলে দিচ্ছি। যেখানে আদি বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করা হয়ন💟ি। ফলে তাঁরাও মাঠে নামেননি। এই কেন্দ্রগুলি হল—বোলপুর, বীরভূম, বর্ধমান পূর্ব, আসানসোল, বাঁকুড়া এবং যাদবপুর। এই ৬ কেন্দ্রে দলের পুরনো কর্মীদের মাঠে নামানো গেলে আসনগুলি বাঁচান যেত।’
আরও পড়ুন: ‘বাইরে থে🉐কে এসে দখলღদাররা হুকুমদার হয়ে বসে যাচ্ছে’, দিলীপের হয়ে ব্যাট ধরলেন মদন
দি✃লীপ ঘোষ তো সরাসরি দলের নেতা෴রা কাঠিবাজি করেছে বলে সরব হয়েছেন। তার সঙ্গে ষড়যন্ত্রের কথাও বলেছেন। নিজের তৈরি করা সংগঠন থাকলেও মেদিনীপুরে তাঁকে দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। আর অনুপমের বক্তব্য, ‘বঙ্গ–বিজেপিতে কাজের লোকের থেকে লবিবাজি করার লোক বেশি। সবাই এখানে ইয়েস ম্যান পছন্দ করেন। কাজের হোক বা না হোক, কাছের লোক হলেই পদ পাবেন। অমিত শাহ ৩৫ আসনের টার্গেট দিয়েছিলেন। সেই টার্গেটটা তৃণমূল কংগ্রেস বেশি সিরিয়াসলি নিয়েছে। ফলে ওরা ২৯ আসনে পৌঁছে গিয়েছে। আর বঙ্গ বিজেপি সিরিয়াসলি নেয়নি, তাই ১২ আসনে আটকে গিয়েছে। ১২ থেকে ২ না হয়ে যায়।’