কেন্দ্রে বিজেপি সরকার গঠন হয়নি। হতে চলেছে এনডিএ সরকার। যার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। যাঁর থেকে ডায়মন্ডহারবার লোকসভা꧙ কেন্দ্রের জয়ী সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটের ব্যবধান অনেক বেশি। শুধু তাই নয়, দেশে অনেক সাংসদের থেকেই বেশি ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকেও দেখা গিয়েছে তাঁকে বাকিরা কতটা সম্মান করছেন। এই আবহে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে দাবি উঠেছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লোকসভার দলনেতা করা হোক। এই নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে দলের অন্দরে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য চান সংগঠনের দায়িত্ব আরও বেশি করে দেখতে এবং সময় দিতে। লোকসভার নেতা হতে তিনি চান না। কারণ এরপরই শুরু হয়ে যাবেꦛ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি। সেখানে বেশি করে সময় দিতে গেলে এই লোকসভার দলনেতার পদে থাকলে সম্ভব হবে না। তাই সংগঠনে মনোনিবেশ করতে চান ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের পর তিনি দেখা করেন অখিলেশ যাদব, আপের দু’জন সাংসদ এবং মুম্বইতে গিয়ে উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে। সেটাও সংগঠনꦕেরই কাজ। ইন্ডিয়া জোট অটুট রাখতেই এই কাজ তিনি করেছেন বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: পাটনা–ঝাড়খণ্ড প্যাসেঞ্🦩জার ট্রেনে ভয়াবহ আগুন, বিহার𒁏ের লক্ষ্মীসরাইয়ে আতঙ্ক তুঙ্গে
অন্যদিকে লোকসভার দলনেতা হলে নয়াদিল্লিতে আটকে থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে বাংলার সংগঠনে সময় দিতে পারবেন না। এই কারণে লোকসভার দলনেতা হতে তিনি চাইছেন না বলে তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যসভা এবং লোকসভার সাংসদদের নিয়ে বৈঠক করেন। কেন্দ্রীয় সরকারকে কোন কোন ইস্যুতে🐟 চেপে ধরতে হবে সেটা ঠিক করেন। এমনকী সংসদীয় দলের কৌশল পর্যন্ত ঠিক করে দেন তিনি। এই কাজ করতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু নয়াদিল্লিতে পড়ে থেকে বাংলার সংগঠন হালকা করে নিতে চাইছেন না তিনি। কারণ বিজেপি বাংলায় হেরে গেলেও বেশ কয়েকটি বিধানসভায় ভাল ফাইট দিয়েছে। বলা যেতে পারে, কিছু কিছু বিধানসভায়🦩 এগিয়েও আছে বা ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে।
এই আবহে নয়াদিল্লিতে লোকসভার নেতা হয়ে আটকে থাকা একেবারেই সঠিক সিদ্ধান্ত নয় বলে মনে করেন অভিষেক। তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠুক অভিষেক। আর সেখানেও নিজের লড়াইয়ের ছাপ ফেলুক। তাই ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে নিজে যেতে না পারলেও অভিষেককে যেতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। জাতীয় রাজনীতিতে কাজ করতে চান অভিষেকও। তবে সেটা সাংসদ হিসাবে। লোকসভার নেতা হিসাবে নয়। ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমন্ত্রণ এসেছে। ওখানে অনেক দলের নেতারাই আসবেন। কেউ দুটি আসন জিতেছেন, কেউ ৩৭টি আসন জিতেছে। আমরা ২৯টি আসন জিতেছে। দেখা যাক, সবাই কি বলেন।’ এটা একজন সাংসদসুলভ মন্তব্য। যা করে অভিষেক বুঝিয়ে দিয়েছেন লোকসভার নেতা হ🎶ওয়ার ইচ্ছা তাঁর এখন নেই।