পিপলস কনফারেন্সের সাজ্জাদ লোন শনিবার অভিযোগ করেন যে সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় যে প্রস্তাব পাশ করা হয়েছিল সেখানে বহু ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নেই। সাজ্জাদ লোন জানিয়েছেন, আমি বুঝতেই পারছি না এই ডিজিটাল দুনিয়ায় এনসি কীভাবে এত মিথ্যে কথা বলতে পারে। যে প্রস্তাব পাশ করা হয়েছে সেখানে আর্টিকেল ৩৭০, ৩৫ এ-র কোনও উল্লেখ নেই। এটা একটা বিভ্রান্তিকর তথ্য। মাত্র দুটি দল বলছে যে প্রস্তাবে তারা আর্টিকেল ৩৭০-র কথা উল্লেখ করেছিল। সেই দুটি দল হল বিজেপি ও ন্যাশানাল কনফারেন্স। আর ভোটের পরে বিজেপি আর ন্যাশানাল কনফারেন্স সেই একই জায়গায় রয়েছে। কিন্তু কোন বাধ্যবাধকতার কারণ তারা আর্টিকেল ৩৭০,৩৫এ-র কথা উল্লেখ করল না। দাবি করেছেন সাজ্𒊎জাদ লোন।
এদিকে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা ন্যাশানাল কনফারেন্সের একটি প্রস্তাবকে পাশ করেছে। ত♌ারা চাইছে রাজ্যের সেই বিশেষ মর্যাদা। এনিয়ে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করবে তারা। এই মর্যাদাকে ২০১৯ সালে বাতিল করা হয়েছিল। সেই সঙ্গেই ৩৭০ ধারাকে বাতিল করা হয়েছিল।
এদিকে সেই প্রস্তাবে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ পরিচিতি দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে আর্টিকেল ৩৭০-এর কথা উল্লেখ করা হয়নি। এদিকে বিজেপি বিধায়করা এনিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। মূ♒লত তাদের তরফে বলা হয়েছে এমন একটা সময়ে এই প্রস্তাব পাশ করা হয়েছে যার জেরে বিধানসভার প্রটোকল নষ্ট হতে পারে।
বিরোধী দলনেতা সুনীল শর্মা কাশ্মীরের মুখ্য়মন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহকে দায়ী করেছেন। তাঁর দাবি মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভার কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন। এদিকে বিজেপির প্রতিবাদের জেরে বার বার সংসদের কাজকর্মকে স্থগিত করা হয়। তবে স্পিকার আব্দুর রহিম ভোটের জন্য এই প্রস্তাবকে পেশ করেন💧। এরপর সেই প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়।
এদিকে নভেম্বরের প্রথমেই কাশ্মীর বিধানসভায় ধুন্ধুমার হয়ে যায়। ৩৭০ ধারা ইস্যুতে হট্টগোল বেঁধেছিল জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায়। ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনতে প্রস্তাবনা পেশ করা হয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায়। সেই সময় বিজেপি ব෴িধায়কদের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয় সজ্জাদ লোন, শেখ খুরশিদ এবং পিডিপি বিধায়কদের মধ্যে। সেই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যায়, বিধায়কদের হাতাহাতির জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠা পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খেতে হয় মার্শালদের। উল্লেখ্য, বারামুলার সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার রশিদের ভাই তথা আওয়ামি ইত্তেহাদ পার্টির বিধায়ক শেখ খুরশিদ অনুচ্ছেদ ৩৭০-এর সমর্থনে একটি পোস্টার তুলে ধরেন গতকাল। এরপরই সেই পোস্টার নিয়ে আপত্তি জানায় বিজেপি। সেই থেকেই ঝামেলা শুরু হয়। পরে তা হাতাহাতিতে পরিণত হয়।