বাংলায় বিজেপিকে পরাজিত করাই একমাত্র লক্ষ্য। তাই বিজেপিকে হারাতে যাকে খুশি ভোট দিন, বলছে সিপিআই (এমএল) লিবারেশন। তবে এখানে একটা বি🍌ষয় উঠে আসছে। সেটি হল, বাংলায় বামফ্রন্ট প্রার্থীদের সিপিআই (এমএল) লিবারেশন সমর্থন করবে বলে আশা 🍌করেছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিলেন সিপিআই (এমএল) লিবারেশনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। রাজ্যে ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে সিপিআই (এমএল) লিবারেশন একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। সেটি বর্ধমান পূর্ব।
এই বর্ধমান পূর্বের আসনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে চিকিৎসক শর্মিলা সরকারকে। বিজেপি প্রার্থী করেছে কবিয়াল অসীম সরকারকে। যিনি বিজেপির হরিণঘাটার বিধায়ক এবং সিপিএম এখানে প্রার্থী করেছে নীর🐽জ খানকে। এই আবহে দীপঙ্কর ভট্টাচার্য জানান, ‘ইন্ডিয়া’ জোটের অংশ হিসেবেই জোট ধর্ম মেনে চলবে তারা। সুতরাং বর্ধমান পূর্ব আসনে লিবারেশনের প্রার্থীকে জেতানোর কথা প্রচার করা হবে মানুষের সামনে। আর বাকি ৪১টি কেন্দ্রে তাঁরা প্রচার করে বলবেন, বিজেপিকে ভোট না দিতে। কিন্তু তাহলে কাকে ভোট দেবেন মানুষ? এই প্রশ্ন উঠছে। তবে সেটা জনতার বিবেচনার উপরেই ছেড়ে দিতে চাইছে সিপিআই (এমএল) লিবারেশন।
এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আবার পরিবেশ তৈরি হতে চলেছে—নো ভোট টু বিজেপি। এটা একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও প্রচার হয়েছিল। সিপিআই (এমএল) লিবারেশন বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের প্রার্থী করেছে সজল কুমার দে’কে। এই বিষয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, ‘বাংলায় বিজেপিকে যারা হারাতে পারবে বা যে দলকে ভোট দিলে বিজেপি হারবে সেটা বাম, কংগ্রেস বা তৃণমূল যে হবে যাকে মানুষ উপযুক্ত মনে করবে তাকে ভোট দেবে। এটা আমরা মানুষের উপরই ছেড়ে দিচ্ছি। 🅺তৃণমূল যদি বিজেপিকে হারাতে পারে তাহলে তৃণমূলকে স্বাগত। বিজেপিকে হারানোই এখন প্রাথমিক রাজনৈতিক কাজ বলে আমরা মনে করি।’
কিন্তু সিপিএম তথা বামেরা বলছে তাঁরা বিজেপি–তৃণমূল দুটি দলেরই বিরꦦুদ্ধে লড়বে। দুটি দলকেই তারা হারাতে চায়। এখানেই সরাসরি মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে সিপিআই (এমএল) লিবারেশনের সঙ্গে। এই বিষয়ে দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘বাংলায় ইন্ডিয়া জোট ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়ছে না। বাম–কংগ্রেসের মতো তৃণমূলকেও আমরা ইন্ডিয়া জোটের শরিক বলেই মনে করি। তাই আমরা কোনও নির্দিষ্ট দলের হয়ে প্রচার করব না। মানুষ কাকে ভোট দেবে সেটা মানুষ ঠিক করুক। বিজেপি যেন না জেতে। কারণ, তৃতীয়বার নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্রের ‘গ’, সংবিধানের ‘স’ কিছুই আর থাকবে না। বিমানদা কী বলেছেন আমি জ🐼ানি না। তবে আমরা বলেছি বিজেপিকে হারাও।’