পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ। আর তা নিয়ে এফআইআর করেছে রাজ্য সরকার। সেই 🎐এফআইআরে নাম রয়েছে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের। একইসঙ্গে দলে র একাধিক নেতাদের নামও তাতে রয়েছে বলে খবর। আশ্চর্যের বিষয় হল, তাতে নাম রয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ হাবড়ার তৃণমূল ছাত্র পরিষ♕দ নেতা বুবাই বোসেরও নাম জায়গা পেয়েছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়–সহ ৮জনের বিরুদ্ধে এই এফআইআর হয়েছে।
এদিকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য এবং রাজ্য সহ– সভাপতি প্রান্তিক চক্রবর্তীর নাম সামনে আসায় লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কাল🐓ে বড় খবর হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্য পুলিশ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিরোধীরা। যদিও রাজ্যের দায়ের করা এফআইআর নিয়ে বিরোধীদেরই কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। তৃণাঙ্কুরের কটাক্ষ, ‘বিরোধীরা কথায় কথায় বলেন পুলিশ শাসকের দলদাস। তাহলে অন্তত এক্ষেত্রে ওরা মানুক যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ শাসকদলের নেতার বিরুদ্ধেও অভিযোগ পেলে পদক্ষেপ করতে পিছপা হয় না। রাজ্যের পুলিশ যে নিরপেক্ষ এটাই তার প্রমাণ।’
আরও পড়ুন: বনগাঁয় জগদীপ ধনখড়ের কুশপুতুল দাহ, মমতাবা𝓡লার শপথে বাধা দেওয়ার জের
অন্যদিকে পুলিশের দায়ের করা এফআইআরে নাম আছে পাহাড়ের কংগ্রেস নেতা বিনয় তামাং, হাবড়া পুরসভার তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর বুবাই বোস, স্কুলশিক্ষা দফতরের ডিআই প্রাণগোবিন্দ সরকার এবং দেবলীনা দাসের। এছাড়া তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য এবং প্রান্তিক চক্রবর্তীর নাম রয়েছে। এই বিষয়ে তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের কথায়, ‘বিজেপি বোধহয় ভয় পেয়েছে। আমরা দেখেছি নির্বাচন আসলে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বদের উপর নানা অভিযোগ লাগিয়ে তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করে। এরকম কিছুর সঙ্গে আমি যুক্ত নই। যাঁরা আমাকে বদনাম করার চেষ্টা করছে তাদের সেই উদ্দেশ্𓄧য সফল হবে না। কারণ এই কেসের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। তদন্ཧতে হলে পূর্ণ সহযোগিতা করব।’
এছাড়া ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে জিটিএ এলাকায় শিক্ষক নিয়োগ হয়। অভিযোগ, স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা ছাড়াই জিটিএ’র অধীনে প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক এবং উচ্চ বিদ্যালয়ে দেড় হাজারের বেশি শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়। এই বিষয়ে মামলা গড়িয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। তারপরই এই এফআইআর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘রাজ্য সরকার এটা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে করেনি। আদালতের নির্দেশে বাধ্য হয়ে করেছে।’ সিআইডি তদন্তে অগ্রগতি না হওয়ায় গত মঙ্গলবার ওই মামলায় সিবিআই তদন্তের দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তৃণাঙ্কুরের কথায়, ‘নির্বাচনের মুখে উড়ো চিঠিকে সামনে রেখে তৃণমূল কর্মীদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা চলছে। এভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে তৃণমূল নেতাদের মনোবল ভাঙা𒁏 যাবে না।’