মনমোহন সিং নাকি মন্তব্য করেছিলেন, 'দেশের সম্পদের ওপর প্রথম অধিকার মুসলিমদের'। এমনই দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে এবার মোদীর সেই দাবি খারিজ করলেন মনমোহন। এর আগে রাজস্থানের বাঁশওয়ারায় এক নির্বাচনী জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছিলেন, কংগ্রেস তাদের ইস্তাহারে দাবি করেছে যে দেশের সম্পদ মুসলিমদের মধ্যে পুনর্বণ্টন করবে। তিনি মনমোহন সিংয়ের ২০০৬ সালের এক মন্তব্যকেও হাতিয়ার করেন কংগ্রেস তোপ দাগতে। এই পরিস্থিতিতে পঞ্জাবের ভোটারদের উদ্দেশে লেখা এক খোলা চিঠিতে মনমোহন সিং দাবি করলেন, নরেন্দ্র মোদী তাঁকে নিয়ে মিথ্যা কথা বলেছেন। (আরও পড়ুন: 🌜CAA-তে নাগরিকত্ব পাওয়ার আগেই ভারতে ভোট দিয়েছেন বাংলার বিকাশ-শান্তিলতারা!)
আরও পড়ুন: ♍২১-এর ভোটে তৃণমূলকে ৪০-৫০টা আসনে কারসাজি করে জেতায় আইপ্যাক, বিস্ফোরক শুভেন্দু
𝓀নিজের খোলা চিঠিতে ভোটারদের উদ্দেশে মনমোহন সিং বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী সবচেয়ে জঘন্য ধরনের ঘৃণামূলক ভাষণে লিপ্ত হয়েছেন এই নির্বাচনের সময়ে। এই নির্বাচন চলাকালীন আমি রাজনৈতিক প্রচারগুলি অনুসরণ করছি। মোদীজি এবারে যে ঘৃণামূলক বক্তৃতা দিয়েছে তা খুবই জঘন্য ছিল। এই ভাষণের মাধ্যমে সমাজে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করেন মোদী। মোদীজি আমার দেখা এমন প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি প্রধানমন্ত্রীর অফিসের মর্যাদা খর্ব করেছেন। এই পদের মূল্য কমিয়ে দিয়েছেন। অতীতে কোনও প্রধানমন্ত্রী সমাজের কোনও একটি অংশকে বা বিরোধী দলকে টার্গেট করে এমন ঘৃণ্য, অসংসদীয় ভাষা প্রয়োগ করেননি। তিনি আমার বিরুদ্ধে কিছু মিথ্যা বিবৃতিও দিয়েছেন। আমি আমার জীবনে কখনও এক সম্প্রদায়কে অন্য সম্প্রদায় থেকে আলাদা করে দেখিনি। এটায় শুধুমাত্র বিজেপির কপিরাইট আছে।
আরও পড়ুন: 🗹মধ্যরাতে EVM কারচুপির চেষ্টা করছিল আইপ্যাক, এবার তমলুকে গুরুতর অভিযোগ অভিজিতের
⛎এর আগে প্রধানমন্ত্রী কী দাবি করেছিলেন? মোদী জনসভায় বলেছিলেন, 'কংগ্রেস যে কোনও পর্যায়ে নীচে নামতে পারে। কংগ্রেসের ইস্তাহারে বলা হয়েছে, তারা মা-বোনদের সোনার গয়নার পরিমাণ খতিয়ে দেখে সেই সম্পদ পুনর্বণ্টন করবে। আর তারা কাকে সেই সম্পদ দেবে? মনমোহন সিংয়ের সরকারই বলেছিল, দেশের সম্পদের ওপর প্রথম অধিকার আছে মুসলিমদের।'
আরও পড়ুন: ﷽বিবেকানন্দ রকে ধ্যানমগ্ন মোদীর প্রথম ছবি প্রকাশ্যে, এই ৪৫ ঘণ্টায় কী খাবেন মোদী?
🥃কিন্তু আসলে কী বলেছিলেন মনমোহন সিং? ২০০৬ সালের ৯ ডিসেম্বর মনমোহন সিং জাতীয় উন্নয়ন কাউন্সিলের সভায় বলেছিলেন, 'তফসিলি জাতি এবং উপজাতিদের উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনাগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। সংখ্যালঘুরা, বিশেষ করে মুসলিম সংখ্যালঘুরা যাতে উন্নয়নের ফল সুষমভাবে ভাগ করে নিতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের উদ্ভাবনী পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। সম্পদের উপর তাদের প্রথম অধিকার থাকা উচিত। কেন্দ্রের অগণিত অন্যান্য দায়িত্ব রয়েছে। এই সব আমাদের কছে সামগ্রিক ভাবে যে সম্পদ আছে, তার মধ্যে থেকেই এই সব চাহিদা মেটাতে হবে।' ২০০৬ সালে মনমোহে রসেই ভাষণের পরও রাজনৈতিক তরজ শুরু হয়েছিল। সেই সময় প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছিল, মনমোহন সিং বলেছেন, তফসিলি জাতি এবং উপজাতি, ওবিসি, নারী, শিশু, সংখ্যালঘুদের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।