দেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে ৪ঠা জুন একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন। ওইদিনই ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এদিকে এনিয়ে আগাম সবরকম উদ্যোগ নিচ্ছে কমিশন। ভোট গণনাপর্ব যাতে একেবারে সুষ্ঠভাবে হয় সেটা নিশ্চিত করা হচ্ছে। আর সোমবার ছিল নির্বাচন কমিশনের বৈঠক ছিল। সেখানে বাংলার প্রসঙ্গ ওঠে। আর সেই প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গও ওঠে। মূলত নন্দীগ্রামে ভোট গণনার সময় লোডশেডিং নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছিল তার পুনরাবৃত্তি যাতে কোনওভাবেই না হয় সেটা দেখার জন্য় বলা হয়েছে। গণনা চলার সময় বিদ্যুৎ পরিষেবা যাতে অব্যাহত থাকে সেটা নির্দিষ্ট করার জন্য় বলা হয়েছে। কমিশন এনিয়ে সতর্ক করে দিয়েছে। কারণ লোডশেডিংয়ের কোনও বিষয় থাকলে বিরোধীরা এনিয়ে নানাভাবে অভিযোগ তোলে। সেই ধরনের অভিযোগ যাতে না ওঠে তা নিয়ে আগাম সতর্ক করা হয়েছে কমিশনের তরফে। এদিকে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে লোডশেডিংয়ে জেতা বিধায়ক বলে বার বার কটাক্ষ করে তৃণমূল। তৃণমূলের তরফে বার বারই অভিযোগ তোলা হয় যে লোডশেডিংয়ের সুযোগে ইভিএমে কারচুপি করে জিতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। তবে এটা কিছুতেই মানেনি বিজেপি। যার জল আদালত পর্যন্ত গড়ায়। তবে এবার নির্বাচন কমিশন এনিয়ে আগাম সতর্ক রয়েছে। গণনাকেন্দ্রে যাতে বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়, গণনাকেন্দ্রে যাতে কোনওভাবেই লোডশেডিং না হয় সেটা নিশ্চিত করার জন্য বলা হয়েছে। এজন্য় গণনাকেন্দ্রে বাড়তি জেনারেটরের ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়েছে। নন্দীগ্রামে ঠিক কী ধরনের অভিযোগ তোলা হয়? ওই কেন্দ্রে প্রথমে জয়ী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে সেই কেন্দ্রে শুভেন্দু অধিকারীর নাম ঘোষণা করা হয়। এরপরই তৃণমূলের তরফে বার বার বলা হয় যে লোডশেডিংয়ের সুযোগে জিতে গিয়েছেন শুভেন্দু। এমনকী খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এনিয়ে নানা সময়ে নানা কথা বলেছেন। পালটা তোপ দেগেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে আসলে নন্দীগ্রামে কী হয়েছিল তা নিয়ে নানা ধোঁয়াশা থেকেই গিয়েছে। এদিকে এবার এক্সিট পোলের হিসাব কার্যত তৃণমূলের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে বাংলায়। তবে এবার এনিয়ে সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘আমরা এক্সিট পোল করি না। আমরা এতে বিশ্বাস করি না। আমরা ভোটে লড়েছিলাম, যে সমস্ত অপদার্থরা সংসদে রয়েছেন, তাঁদের এক্সিট ডোর দেখানোর জন্য।’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এক্সিট পোলের সমীক্ষা রিপোর্ট নিয়ে বলেছেন, ‘সংবাদমাধ্যম কী করে বলে দিচ্ছে, ওই আসনে ও জিতবে, অমুক আসনে কে জিতবে, কত টাকার বিনিময়ে? আমি এই সংবাদমাধ্যমের হিসেব মানি না। কর্মীদের বলব শক্ত থাকতে। গণনা ভাল করে করতে। যা দেখিয়েছে সংবাদমাধ্যম, তার দ্বিগুণ পাব। প্রত্যেকটা আসন আমরা জিতব।’