জমে উঠেছে ভোটের প্রচার। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা একেবারে মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন বাংলায়। আর বাংলায় এসে এতদিন ধরে বিজেপি নেতৃত্বরা বলতেন রবীন্দ্রনাথের কথা। নেতাজির কথা। বিবেকানন্দর কথা। শ্রীচৈতন্যর কথা। এবার প্রচারে এসে সত্যজিৎ রায়ের প্রসঙ্গ টেনে আনলেন অমিত শাহ। কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে তীব্র খোঁচা দিয়ে শাহ বলেন, আমাদের সত্যজিৎ রায় খুব বিখ্য়াত শিল্পী ছিলেন। তাঁর ছবি হীরক রাজার দেশে খুব প্রসিদ্ধ। মমতার আমলে তিনি বেঁচে নেই। সত্যজিৎতা বেঁচে থাকলে হীরক রানির দেশে নামে সিনেমা বানাতেন। একেবারে মোক্ষম খোঁচা দিলেন অমিত শাহ। এদিকে বিজেপি মাঝেমধ্যেই তৃণমূল নেত্রীকে হীরক রানি বলে খোঁচা দেন। তবে এবার অমিত শাহের গলায় শোনা গেল একই সুর।বাংলার প্রবাদপ্রতীম পরিচালক সত্যজিৎ রায়। তাঁর তৈরি সিনেমা হীরক রাজার দেশে আজও প্রশংসিত হয়। এবার সেই সত্যজিৎ রায়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করলেন অমিত শাহ। তবে এনিয়ে খোঁচা দিচ্ছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, পেট্রল ডিজেলের দাম বৃদ্ধি, বেকারত্ব বৃদ্ধি, মানুষের জীবনযাত্রার মান পড়ে যাওয়া এসব তো চলছেই। আর তাঁর পাশে বসে হীরক রাজার আর এক সেনাপতি অমিত শাহ মোদীকে দেখতে পাননি। আর মমতাকে বলছেন হীরক রানি। এটা সত্যের অপলাপ ছাড়া আর কিছু নয়। তবে অমিত শাহের মুখে আচমকা সত্যজিৎ রায়ের নাম শুনে অনেকের কার্যত ভিড়মি খাওয়ার পরিস্থিতি। সচরাচর বিজেপির মুখে সত্যজিৎ রায়ের নাম শোনা যায় না। এবার খোদ অমিত শাহের মুখে শোনা গেল সত্যজিৎ রায়ের নাম। এদিকে বিজেপি এবার কতগুলি আসন পাবে বাংলা থেকে তা নিয়ে অমিত শাহ কী বলেছেন সেটাও জেনে নেওয়া যাক। সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের সাক্ষাৎকারে শাহ বলেন, 'আমি এখনও নিজের কথায় অনড় থাকছি। আমরা ২৪ থেকে ৩০টি আসনে জিতব। নিশ্চিতভাবে (বলতে পারি যে) এবার বাংলার মানুষ নরেন্দ্র মোদীজি'কে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন দিতে চলেছেন।' তবে তৃণমূল কতগুলি আসন পাবে, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীএর পাশাপাশি তৃণমূলকে আরও চাপে রাখতে বিশেষ দাবি করেছেন অমিত শাহ। শাহের দাবি, নিজের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলে আনতে গিয়ে নিজের দলের নেতাদের চটিয়ে দিয়েছেন মমতা। সেই পরিস্থিতিতে বাংলায় বিজেপির আসন সংখ্যা ৩০ হলেই তৃণমূল সরকারে কাঁপুনি ধরে যাবে।