আব্রাহাম থমাসসুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীকে অনুমতি দিল যে তারা ন্যাশানালিস্ট কংগ্রেস পার্টি( এনসিপি) নামটি ব্যবহার করতে পারবে। সেই সঙ্গেই ঘড়ি চিহ্ন ব্যবহার করতে পারবে তারা। শরদ পাওয়ারের গোষ্ঠী অভিযোগ করেছিল যে তাদের জন্য বরাদ্দ প্রতীকটি বর্তমানে একটি ‘মুক্ত প্রতীক’ এবং ভোটারদের মনে বিভ্রান্তি তৈরি করতে যে কোনও প্রার্থী এটি নিতে পারেন।বিচারপতি সূর্য কান্তের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছে, 'নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য এনসিপি-এসসিপি-র পাশাপাশি 'নির্দিষ্ট একটি প্রতীক সেই দলের সংরক্ষিত প্রতীক হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।শীর্ষ আদালত অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীকে কোনও নির্বাচনী প্রচারের সামগ্রীতে এনসিপি প্রতিষ্ঠাতা শরদ পাওয়ারের নাম বা ছবি ব্যবহার করতে নিষেধ করেছে।আদালত অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীকে একটি পাবলিক নোটিশ জারি করার নির্দেশ দিয়েছে যে শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন আপিলের চূড়ান্ত ফলাফল সাপেক্ষে 'ঘড়ি' প্রতীকের ব্যবহার করা হয়েছে। ততদিন পর্যন্ত প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সব বিজ্ঞাপনের সঙ্গে এ ধরনের ঘোষণা দিতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত।গত সপ্তাহে বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ প্রচারে শরদ পাওয়ারের নাম ও ছবি ব্যবহারের অভিযোগে অজিত পাওয়ার শিবিরকে টেনে নিয়ে যায়।তিনি বলেন, আপনারা এখন ভিন্ন রাজনৈতিক দল। আপনি তার সঙ্গে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাহলে তার ছবি কেন ব্যবহার করবেন... এখন নিজের পরিচয় নিয়ে যান।আমাদের নিঃশর্ত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে শরদ পাওয়ারের নাম, ছবি ব্যবহার করা হবে না।ভারতের নির্বাচন কমিশন ৬ ফেব্রুয়ারির নির্দেশে আইনসভার সংখ্যাগরিষ্ঠতার পরীক্ষার ভিত্তিতে অজিত গোষ্ঠীকে আসল এনসিপি হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।বিধায়কদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পেয়েছে অজিত পাওয়ার। কমিশন মনে করে, অজিত পাওয়ার ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি এবং ঘড়ির নাম ও সংরক্ষিত প্রতীক ব্যবহার করার অধিকার রয়েছে।অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠী দলের আসল নাম এবং দলীয় প্রতীকের উত্তরাধিকারী হওয়া উচিত বলে তিন নির্বাচন কমিশনার যে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন প্রবীণ শরদ পাওয়ার।