‘হিন্দু ভোট’ ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার। তাই বহরমপুর লোকসꦓভা কেন্দ্রে জিতলেও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের জয়ের মার্জিন কম হবে বলে দাবি করলেন শাসক দলেরই বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে তেমন ‘চিন্তা’ না থাকলেও ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক দাবি করেছেন, যতটা প্রত্যাশা করেছিলেন, ততটা হিন্দু ভোট পাননি ইউসুফ। কারণ নিজের কাজটা ঠিকমতো করতে পারেননি তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অপূর্ব তথা ডেভিড। যদিও বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি একদা বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরীর ‘ডানহাত’। তাঁর ঘনিষ্ঠদের অবশ্য বক্তব্য, অপূর্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার আগে নিজের কাজটা ঠিকমতো করা উচিত ছিল হুমায়ুনের। জেলা সভাপতি কী ম্যাজিক দেখিয়েছেন, তা আগামী ৪ জুনই বোঝা যাবে বলে দাবি করেছেন তাঁরা।
অপূর্বের ম্যাজিকে অনাস্থা হুমায়ুনের
অপূর্বের ম্যাজিক অবশ্য আগেই দেখেছে বহরমপুর। তিনি তৃণমূলে আসার পরই একধাক্কায় অধীরের জয়ের মার্জিন কমে গিয়েছিল। কিন্তু অপূর্বের ম্যাজিকে যে তাঁর আস্থা নেই, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন হুমায়ুন। বিধায়ক দাবি𒈔 করেছেন, ভরতপুরের নির্বাচন কমিটি থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর ঘনিষ্ঠদের ছেঁটে ফেলেন অপূর্ব। অথচ তিনি হিন্দু ভোট ধরে রাখতে♔ পারেননি। সেই পরিস্থিতিতে দলীয় পদ ধরে রাখার কোনও অর্থ নেই বলে দাবি করেন হুমায়ুন।
যে হুমায়ুন ভোটের পরই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন যে নিজের বিধানসভা এলাকা থে♚কে ইউসুফকে প্রত্যাশা মতো লিড দিতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে ধন্দে আছেন📖। আর তারপর সরকারি অপূর্বকে নিশানা করলেন। যদিও সেইসব ঘটনার পরেও বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে অধীর হারবেন এবং ইউসুফ জিতবেন বলে দাবি করেছেন হুমায়ুন।
অপূর্ব-ঘনিষ্ঠদের বক্তব্য
হুমায়ুনের মন্তব্য নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি অপূর্ব। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠরা চুপ থাকেননি। প্রকাশ্যে না হলেও অন্তরালে হুমায়ুনের বিরুদ্ধে উষ্মাপ্রকাশ করেছেন অপূর্বের ঘনিষ্ঠরা। তাঁদের বক্তব্য, বিধায়ক তো নিজের বিধানসভা এলাকা থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী লিড দিতে পারবেন কিনা, সেটাই ব💎লতে পারছেন না। পুরো লোকসভা কেন🍸্দ্র নিয়ে কোনও কথা তাঁর মুখে মানায় না।
শুধু তাই নয়, অপূর্ব-ঘনিষ্ঠদের বক্তব্য, মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে জনগর্জন সভা থেকে ইউসুফকে যখন প্রার্থী ঘোষণা ꧑করা হয়েছিল, তখন তো হুমায়ুনই ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করেছিলেন। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটারকে প্রার্থী হিসেবে মানতে রাজি নন বলেও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। সেই পরিস্থিতিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তাঁর কোনও কথা বলারই অধিকার নেই বলে দাবি করেছেন অপূর্ব-ঘনিষ্ঠরা।
আর সেই কাদা ছোড়াছুড়ির মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে যে ইউসুফ সত্যꦅি জিততে পারবেন তো? গোষ্ঠীকোন্দলে কি আদতে তৃণমূলেরই কপাল পুড়বে? উ😼ত্তরটা মিলবে ৪ জুন।