শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিকে ঘিরে তোলপাড় হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। লোকসভা নির্বাচনে প্রচারে এসে সেই শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। তৃণমূলের পাশ𓆉াপাশি তিনি বামেদেরও আক্রমণ করেন । মানিক সাহার দাবি, ত্🐟রিপুরায় শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির পর সরকার বদল হয়েছে। আর এবার পশ্চিমবঙ্গের পালা।
আরও পড়ুন: লোকসভার পরে ত্রিপ�♌�ুরা এবং বাংলায় বামেদের অস্তিত্ব থাকবে না, দাবি মানিক সাহার
লোকসভা নির্বাচনে প্রচারে রাজ্যে আসছেন বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সহ বিজেপির প্রথম সারির ন♋েতারা বাংলায় ঘনঘন প্রচারে আসছেন।
রবিবার মথুরাপুরের বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকায়েতের সমর্থনে পাথরপ্রতিমার রামগঙ্গায় একটি জনসভা করেন মানিক সাহা। সেখানে তিনি নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল এবং বামেদের আক্রমণ করেন। বাংলার তৃণমূল সরকারকে বামেদের কার্বন কপি বলে মন্তব্য করেন মানিক সাহা। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় শিক্ষক নিয়োগের পর ক্ষমতার বদল হয়েছে, বাংলাতে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। এখানে এবার ক্ষমতার বদল হবে। বিজেপি ক্ষ🦄মতায় আসবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বামফ্রন্টকে আক্রমণ করেন। তিনি তৃণমূল সরকারকে বামেদের কার্বন কবি বলে মন্তব্য করেন। তাঁর অভিযোগ, বামেরা যে যে কু কর্ম করে গিয়েছে তৃণমূল সরকারও তাই করছে। সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টেনেও তৃণমূলকে আক্রমণ করেন মানিক সাহা। তাঁর দাবি, এখানে এতো কিছু কাণ্ౠড ঘটেছে যে বলে তা শেষ করা যাবে না।
বামেদের আক্রমণ করে মানিক সাহা বলেন, ত্রিপুরায় কমিউনিস্টরা বেআইনি🌱ভাবে শিক্ষকের চাকরি দিয়েছিল। বেআইনি নিয়োগের কারণে সেখানে ১০ হাজার ৩৩ জনের চাকরি চলে গিয়েছে। আর বাংলায় ২৬ হাজার শিক্ষক-ཧশিক্ষা কর্মীদের চাকরি যাওয়ার পথে। সুতরাং এখানেও সরকার পরিবর্তনের দিন আসছে। তৃণমূলকে আরও আক্রমণ করে তিনি বলেন, তৃণমূল ভোটের সময় ত্রিপুরাতে গেলেও তাতে লাভ হয় না। ত্রিপুরার মানুষ তাদের গ্রহণ করেনি। সেখানকার মানুষ তৃণমূলকে তাড়িয়ে দিয়েছে। মাত্র ০.৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে। আর এবার বাংলা থেকেও তৃণমূলকে তাড়িয়ে দেবে এখানকার মানুষ।