এবার অনুব্রত মণ্ডল নেই বীরভূমে। তার ঠিকানা বর্তমানে তিহাড় জেলে। একেবারে ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার কথা বিজেপির। কিন্তু সেটা মনে 💜হয় হচ্ছে না। এমনটাই মত অনেকের। কারণ বিজেপির ভেতরের ক্রমাগত দ্বন্দ্ব। নানা জল্পনা ছড়ালেও শেষ পর্যন্ত টিকিট পাননি দুধকুমার মণ্ডল। এসবের মধ্য়েই সেই দুধকুমারকে কার্যত ভিলেন বানিয়ে দিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের এক বিজেপি নেতা। তিনি বীরভূমেরই আদি বাসিন্দা। কিন্তু বর্তমানে ঝাড়খণ্ডে বিজেপির নেতা হিসাবে রয়েছেন♌। তিনি ঝাড়খণ্ড থেকে দুধকুমারকে বিঁধে একটি ভিডিয়ো বার্তা দিয়েছেন। শিবলাল ঘোষের সেই ভিডিয়ো বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে। সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
সেই ভিডিয়ো বার্তায় বলা হয়েছে, দিন কয়েক আমি একটি অডিয়ো বার্তায় বলেছিলাম দুধকুমার মণ্ডলের মতো সুবিধাবাদী, ধান্দাবাজকে প্রার্থী না করতে। ঘটনাচক্রে ত🎀িনি প্রার্থী হননি। কিন্তু তিনি সংবাদমাধ্যমে অনেক অ♌প্রয়োজনীয় কথা বলছেন। দলের জেলা নেতা ধ্রুব সাহা, অর্জুন সাহা, বাবন দাসদের কাছে অনুরোধ তাঁকে যেন নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে না দেওয়া হয়।
এভাবেই একেবারে দুধকুমার মণ্ডলকে সরাসরি নিশানা। তবে শিবলালকে পালটা দিয়েছেন দুধকুমার। আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, দুধকুমার জানিয়েছেন, শিবলাল ভাড়াটিয়া সৈনিক। আমার বিরুদ্෴ধে চক্রান্ত কাজে এসেছে। ওরা সর্বোতভাবে আমার টিকিট পাওয়া আটকাতে চেয়েছিল। কারণ আমি প্রার্থী হলে শিবলাল সহ অনেকের ক্ষতি হত। তাই একথা বলছেন। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, এখন ।যারা সফল হয়েছেন চক্রান্তে তাদের দায়িত্ব হল বিজেপি প্রার্থীকে জিতিয়ে আনা। বীরভূমে কেষ্ট মণ্ডল নেই। এত বড় সুযোগ!
বাস্তবিকই এবার বীরভূমের কেষ্টর গড় দখল করার ক্ষেত্রে বিজেপির কাছে বড় সুযোগ। সেক্ষেত্রে সেটা কতটা সফল হয় সেটাই দেখার। কিন্তু পরিস্থিতি যেদিকে য♈াচ্ছে তাতে বীরভূম শেষ পর্যন্ত কার দখলে যায় সেটাও দেখার। তবে এবার কিন্তু বীরভূমে আর চড়াম😼 চড়াম নেই। বিরোধীদের নকুলদানা দেওয়ার মতোও কেউ নেই। কিন্তু দ্বন্দ্ব মেটাবে কে?
সেই প্রশ্নের উত্তরই তো মিলছে না। বর্তমানে প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধরকে প্রার্থী করা হয়েছে বীরভূম থেকে। সেক্ষেত্রে জোর টক্কর হতে পা♔রে। তাকে ঘিরে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থাকার কথা নয়। তবুও কোথাও যেন সুর কেটে যাচ্ছে ক্রমশ। তবে শেষ পর্যন্ত দুধকুমারের ভূমিকা কী হয় সেটাই দেখার।